আশরাফুল যে বাদ পরবে সেটা বোধহয় অনুমেয়ই ছিল। মূলত বলা যায় তাকে অতীতের কথা বিবেচনা করে অনেক বেশি সুযোগ দেয়া হয়েছিল তবে তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন নি।এখন পর্যন্ত আজকের আগে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর হয়ে ৫ ম্যাচ খেলেছিল আশরাফুল।
উদ্বোধনী ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে ৯ বল খেলে আশরাফুল করেছিলেন মাত্র ৫ রান। বরিশালের বিপক্ষেও একই অবস্থা ছিল, ব্যাটে রান ছিল না তার। ৪ বল মোকাবেলায় ৬ রান করে হয়েছিলেন রানআউট। খুলনার বিপক্ষে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকলেও বল মোকাবেলা করেছিলেন ২২টি। যদিও ভাগ্য ভালো ম্যাচ জিতেছিল।
পরের ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচেও ২০ রান করেছেন ১৯ বল মোকাবেলায়। যেখানে তার দল হেরেছে মাত্র ১ রানে, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। নিজেদের শেষ ম্যাচে ৮ বল খেলে করেছে মাত্র ১ রান।
৫ ম্যাচে রান করেছে মাত্র ৫৬ যেখানে বল খেলেছে ৬২ টি! এভারেজ মাত্র ১৪ এবং স্ট্রাইক রেট ১০০ থেকেও কম। এরকম পারফর্মেন্সের পর যে কোন ক্রিকেটারই দল থেকে বাদ পরবে সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার। যা ঘটেছে তার সাথেও। পরবর্তী ম্যাচ গুলোতে ফিরবে তিনি সেই সম্ভবনাও কমই বলা চলে।
আজকে আশরাফুল কে বাদ দিলেও বাদ করতে পারেনি নিজেদের পরিস্থিতি। এখনও সেই ২ জয়ের পর হারের বৃত্তেই আছে তারা। আজকে ৫ উইকেটে হেরেছে জেমকন খুলনার সাথে।
টানা ২ জয়ের পর টানা ৪ হার এসেছে আজকে জেমকন খুলনার বিরুদ্ধে। আজকেই প্রথম একাদশে ঢুকেছিল সাইফ উদ্দিন। ব্যাটিং এর সুযোগ না পেলেও বল হাতে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন একটি উইকেট।মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর দেয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় মাহমুদুল্লাহর জেমকন খুলনা। ম্যাচ সেরা ছিলেন অধিনায়ক নিজেই।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন