শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   ফ্রান্স ইস্যুতে হেফাজতের সমাবেশ থেকে যে সকল কঠোর হুঁশিয়ারি দিল বাবুনগরী

ফ্রান্স ইস্যুতে হেফাজতের সমাবেশ থেকে যে সকল কঠোর হুঁশিয়ারি দিল বাবুনগরী

Avatar

সোমবার, নভেম্বর ২, ২০২০

প্রিন্ট করুন

সম্প্রতি ফ্রান্সে মহানবী (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও দেশটির প্রেসিডেন্ট এমম্যানুয়েল ম্যাঁক্রোর ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে ফ্রান্সের দূতবাস ঘেরাও করার জন্য মিছিল নিয়ে যায় হেফাজতে ইসলাম। তবে সেই মিছিলটি পুলিশ আটকে দেয় শান্তিনগর পর্যন্ত গেলে। এর ফলে সেখানেই বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতারা। হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরী বক্তৃতা রাখার সময় জানান বাংলাদেশ থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ফ্রান্সের সাথে সকল প্রকার কূতনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। এসময় ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেয়া হয় সরকারকে।

জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরী এই বক্তৃতায় জানান ফ্রান্স মহানবী (সা.)কে নিয়ে যা করেছে তা সরকারিভাবে বেয়াদবি হয়েছে। তার ভাষ্য, ‘’আমাদের কলিজার টুকরা রাসুল (সা:) এর ব্যঙ্গচিত্র ফ্রান্সের দেয়ালে দেয়ালে সরকারিভাবে দেখানো হয়েছে। এতদিন ব্যক্তিগতভাবে করা করা হলেও এই প্রথম সরকারিভাবে এমন বেয়াদবি করা হলো।‘’

ফ্রান্সের সকল প্রকার পণ্য বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে বাবুনগরী আরও বলেন, ‘’আমি সব মুসলিম দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের কাছে দাবি জানাবো আপনারা ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন। ঈমানি দাবি আপনারা ফ্রান্সের যাবতীয় পণ্য বর্জন করুন।

ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘’আপনাদের ঈমানি শক্তি থাকলে ফ্রান্সের পণ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফেলে দিন।‘’ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো এবং বাংলাদেশ সরকারকে তিনি বলেন, ‘’যারা আল্লাহ রাসুল ও কোরআন মাজীদের সাথে বেয়াদবি করবে তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন পাস করুন।‘’

একই সমাবেশে ঢাকা মহানগরীর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাশেমি জানান ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিকে তার কর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।

এসময় তিনি বলেন, ‘’ফ্রান্স সব মুসলমানদের ঈমানে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, এই আগুন নেভানোর একমাত্র পথ ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি ক্ষমা না চায়, তাহলে এই আগুনে পুড়ে ফ্রান্স ছাড়খার হয়ে যাবে।‘’ একই সময় নূর হোসাইন কাশেমি আরও জানান ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংসদে যেন নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হয়।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন