বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা কেটে গেছে আজ (২৯ অক্টোবর) থেকেই। এখন থেকে ক্রিকেটে ফিরতে তার কোনো বাধা নেই। গত বছরে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে সাকিব ছিলেন অলরাউন্ডারের তালিকায় সবার উপরে। তবে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর সেই টেবিল থেকে তার নাম মুছে দেয় আইসিসি।
অলরাউন্ডার র্যাংকিং থেকে সাকিবের নাম মুছে দেয়ার পর বেশ কয়েক দফা হালনাগাদ করা হয়েছে আইসিসির র্যাংকিংয়ের টেবিল। যেখানে সাকিব না থাকার কারনে অনেক কম রেটিং নিয়েও অনেকেই ছিলেন উপরের সারিতে। তবে সাকিব ক্রিকেটে ফেরায় সেই টেবিলে আবারও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।
আইসিসির তরফ থেকে র্যাংকিংয়ের তালিকা হালনাগাদ করা হয়ে থাকে প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজের পরই। সেই হিসেবে পাকিস্তান নিজেদের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নিতে যাচ্ছে ৩০ অক্টোবর থেকে। এই সিরিজ শেষ হবার কথা রয়েছে ৩ নভেম্বর। অর্থাৎ, এর একদিন পর ৪ নভেম্বর আবারও আইসিসি র্যাংকিং হালনাগাদ করবে।
সাকিবকে যেদিন আইসিসি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সেদিন ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৩৯৪। তবে নিষেধাজ্ঞায় থাকাকালীন সাকিব ওয়ানডে মিস করেছিলেন ৩টি। প্রতিটি ম্যাচ হাতছাড়া করার জন্য সাকিবের নামের পাশ থেকে কাঁটা যাবে ০.৫ রেটিং পয়েন্ট। এক ম্যাচের জন্য সাকুল্যে সাকিব হারিয়েছে ২ পয়েন্টের মত। সেই হিসেবে সাকিবের নামের পাশ থেকে চলে যাবে প্রায় ৬ পয়েন্ট।
নিষেধাজ্ঞার আগে সাকিবের নামের পাশে থাকা ৩৯৪ রেটিং পয়েন্ট থেকে যদি ৬ পয়েন্ট বাদ যায় তবে সাকিবের রেটিং টিকে থাকবে ৩৮৮ এর মত। অন্যদিকে বর্তমানে ওয়ানডে অলরাউন্ডারের র্যাংকিংয়ে থাকা আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর নামের পাশে রয়েছে ৩০১ রেটিং পয়েন্ট। ফলে সাকিব থেকে ঢের দূরে তিনি।
এছাড়া পাকিস্তান দলের ইমাদ ওয়াসিমের রেটিং পয়েন্ট রয়েছে ২৭৮। এই রেটিং নিয়ে তার অবস্থান টেবিলের তিন নম্বরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি সিরিজ দিয়ে সাকিবকে ছাড়িয়ে যাওয়া তাই অসম্ভবই বটে! ফলে টাইগার ক্রিকেটের প্রাণ সাকিব আবারও নিজের অবস্থানেই ফিরছেন!
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন