মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রী। খেতাবটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। দীর্ঘদিন হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্সি তুলে রেখেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। সর্বশেষ গত বছর খেলেছিলেন বিগ ব্যাশে। এরপর আর মাঠে দেখা যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কে। তবে আজ করোনা পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় মাঠে নামলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
আর ব্যাটের নেমেই যেন তাণ্ডব চালালে তিনি। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরলেও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে দলকে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমেও ২৫০ স্ট্রাইক রেটে ২৪ বলে ৬১ রান করে এবি ডি ভিলিয়ার্স ঈগল’সকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন দলটির অধিনায়ক স্বয়ং ভিলিয়ার্সই।
চার মাসের অপেক্ষা শেষে চ্যারিটি টুর্নামেন্ট সলিডারিটি কাপ দিয়ে ক্রিকেট ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। যেখানে ক্রিকেটের নতুন এক ফরম্যাটের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করে দিয়েছে প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে আট জন ক্রিকেটার নিয়ে গড়া হয়েছে প্রতিটি দল।
নিয়মানুযায়ী যারা খেলতে পারবে ১২ ওভার করে; শেষ ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং সুবিধাসহ। মোট ৩৬ ওভারের এই টুর্নামেন্টে তিন দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত যারা সর্বোচ্চ রান করবে, তারা হবে বিজয়ী।ভিলিয়ার্স এবং অ্যাইডেন মার্করাম ঝড়ে টুর্নামেন্টটিতে জয়ী হয়েছে ভিলিয়ার্স ঈগল’স। তারা নির্দিষ্ট ১২ ওভার শেষে তুলেছে ৪ উইকেটে ১৬০ রান। যার মধ্যে ভিলিয়ার্সের ৬১ রান এবং মার্করামের ৩৩ বলে ৭০ রান উল্লেখযোগ্য।
জয়ের জন্য বাকি দুই দলের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৬১ রান। তবে টেম্বা বাভুমার দল কাইটস করতে পেরেছে ৩ উইকেটে ১৩৮ রান। যার মধ্যে স্মাটস ৪৮ এবং প্রিটোরিয়াস করেন ৫০ রান।সর্বশেষে ব্যাটিং করা রেজা হেনড্রিকসের দল কিংফিশারস সবচেয়ে বাজে ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। তারা ৫ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ১১৩ রান। দলটির পক্ষে ডু প্লেসি ২৮ এবং কোয়েটজে করে ২৬ রান।
তিনটি দল অবশ্য শুরুতে ৬ ওভার করে খেলে। পরবর্তী সময়ে বিরতি নিয়ে বাকি ৬ ওভার করে ব্যাটিং করে। শুরুর ৬ ওভারের ব্যাটিংয়েও এগিয়ে ছিল ভিলিয়ার্সের দলই।
সর্বোচ্চ রান করে চ্যাম্পিয়ন ভিলিয়ার্সের দল টুর্নামেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছে। আর রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে যথাক্রমে বাভুমা এবং হেনড্রিকসের দল। এই টুর্নামেন্ট থেকে অর্জিত অর্থ প্রোটিয়া ক্রিকেটে কর্মরত অসহায় ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে ব্যয় হবে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন