অতিমারি করোনার কারণে প্রায় তিনমাস ধরে বন্ধ রয়েছে সবধরনের ক্রিকেট। শীঘ্রই মাঠে খেলা ফেরানোর পরিকল্পনা করে রাখলেও সেটি কবে নাগাদ বাস্তবায়ন করা হবে, সেসম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নয় বিসিবি। এদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির দিনদিন আরো অবনতি হওয়ায় ক্রিকেটারদের মাঠে গিয়ে অনুশীলন করার অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না এখনো। যেকারণে বাধ্য হয়ে ঘরে থেকেই টুকটাক জিমের সামগ্রী ব্যবহার করে ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করছেন ক্রিকেটাররা। ভাগ্য কিছুটা ভালো হলে, কারো কারো এলাকার ভিতরে খানিকটা দৌড়ানোর সুযোগ মিলছে।
তবে এতক্ষণ যে বর্ণনা শুনলেন, সেটি ছিল অবস্থাপন্ন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা সাধারণ ক্রিকেটারদের হিসাবটা পুরোপুরি আলাদা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেকটা দিন এনে দিন খাওয়া এসব ক্রিকেটারদের স্বাভাবিক সময়েও এতসব দামি দামি অনুশীলন সামগ্রী কেনার সামর্থ্য থাকে না।
আর মহামারির এসময়ে যেখানে তারা নিজেদের সংসার সামলাতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন, তখন তো ব্যাপারটি আরো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে এভাবে মাসের পর মাস ঘরে অলস সময় পার করতে করতে তাদের ফিটনেসের যে ভয়ানক ক্ষতি হবে, সেটা আলাদা করে না বললেও চলে।
তবে গরিব ক্রিকেটারদের এই চরম দুঃসময়ে একজন সত্যিকারের অভিভাবকের মতোই পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছে বিসিবি। আজ রোববার সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।
তিনি জানিয়েছেন যে, অসচ্ছল ক্রিকেটারদের এসব অনুশীলন সামগ্রী সরবরাহ করা গেলে তারাও অন্য সবার মতো ৮০ শতাংশ ফিটনেস ধরে রাখতে সক্ষম হবেন। বাকিটুকু দুই-তিন সপ্তাহের অনুশীলনেই ফিরে আসবে। তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, ‘বাসায় প্রশিক্ষণটা কত উন্নত করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। সেটা নিয়ে চেষ্টা করতে গিয়ে আমরা এখন পরিকল্পনা করছি তাদের সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করতে পারি কিনা। কারো কারো বাসায় দেখবেন জিম আছে।
আবার কারো কারো বাসায় হাঁটার জায়গাও নেই। আমরা চেষ্টা করছি যাদের কিছুই নেই ওদের কিছু সরঞ্জাম দিতে পারি কিনা, এগুলো বাসায় নিয়ে ফিটনেস ট্রেনিং করা যাবে। তাহলে ন্যূনতম ৮০ ভাগ ফিটনেস তারা ধরে রাখতে পারবে। তাছাড়া এখন আমাদের শতভাগ ফিটনেস দরকারও নেই। আউটডোর ট্রেনিংয়ে গেলে তিন সপ্তাহের মধ্যেই তা ফিরে পাওয়া যাবে। এই মুহূর্তে এটা আমাদের দিক থেকে চিন্তা ভাবনা।’
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন