শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   ভারত শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যুতে তদন্তের যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো আইসিসি

ভারত শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যুতে তদন্তের যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো আইসিসি

Avatar

শনিবার, জুলাই ৪, ২০২০

প্রিন্ট করুন

২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারতের কাছে ইচ্ছে করে হেরেছে শ্রীলঙ্কা, এমন অভিযোগ তোলেন দেশটির সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ম্যাচটি ‘ফিএক্সিং’ না হওয়ায় তারা আজ (৩ জুলাই) একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছিল। এবার আইসিসিও এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে যে তাদের তদন্তের ফলাফল বলে যে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আইসিসি দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) এর জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শালের দেওয়া বিবৃতি অনুসারে অভিযোগের পক্ষে কোন প্রমাণ মেলেনি। তবে এরপরেও কারও কাছে কোন শক্ত প্রমাণ থাকলে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট সাম্প্রতিক সময়ে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোন প্রমাণ হাজির করা হয়নি যা অভিযোগের পক্ষে সমর্থন করা হয়। কিংবা যার উপর ভিত্তি করে আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে পারি।’

‘তৎকালীন শ্রীলঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী কর্তৃক আইসিসির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে সেটিরও কোন সঠিক রেকর্ড পাওয়া যায়নি। আইসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিশিচত করেছেন তাদের কাছে এমন কোন তথ্য নেই। ফলে ২০১১ সালের ফাইনালকে সন্দেহের চোখে দেখার মত এখনো পর্যন্ত কোন কারণ নেই।’

এ ধরণের অভিযোগ আমলে নিয়ে আইসিসি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বলেও জানান অ্যালেক্স মার্শাল। কারও কাছে শক্ত প্রমাণ থাকলে তাদের সাথে যোগাযোগের পরামর্শও দেন, ‘আমরা এ ধরণের সমস্ত অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিই। এবং ব্যাপারগুলো সমাধানের জন্য আমাদের কিছু প্রমাণাদির প্রয়োজন হয়। আমরা আমাদের বর্তমান অবস্থান পর্যালোচনা করবো। কারও কাছে ওই ম্যাচ কিংবা অন্য কোন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রমান থাকে তাহলে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করছি।’

উল্লেখ্য, এর আগে শ্রীলঙ্কান ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষ তদন্ত কমিটিও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিবৃতি রেকর্ডের পর একই সিদ্ধান্তে পৌঁছান। তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তখনকার প্রধান নির্বাচক অরবিন্দ ডি সিলভা, অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা, ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকে। সবার আগে বিবৃতি রেকর্ড করা হয় অভিযোগকারী সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী মাহিনান্দানান্দা আলুথগামাগের। ডেকে এনেও অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি মাহেলা জয়াবর্ধনেকে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন