এক সময় বাংলাদেশের কিংবদন্তি স্পিনার ছিলেন মোহাম্মদ রফিক। তাকে দেখেই তরুণ খেলোয়াড়রা স্পিনার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হতো। সে কারণে এক সময় বাংলাদেশের স্পিনারদের পাইপলাইন বেশ শক্ত ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রফিক যেন দূরের বাতিঘর হয়ে গেলেন।
২০০৮ সালে অবসর নেওয়ার পর ক্রিকেটের সঙ্গে বিশেষ করে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক সময়কার কিংবদন্তি এই স্পিনারকে বোর্ডও খুব একটা ব্যবহার করেনি। রফিকের সঙ্গে যারা খেলেছেন, তারা এখন বোর্ডে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। বোর্ডে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাকে ডাকা হয়নি। এই নিয়ে সম্প্রতি বিডিক্রিকটাইমকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রফিক।
সেখানে তিনি জানান, “আপনারা দেখেছেন, আমি অনেক জায়গায় সাক্ষাৎকার দিয়েছি, বোর্ড প্রেসিডেন্ট নিজেও বলেছেন রফিককে আমরা খুব তাড়াতাড়ি নিচ্ছি। গর্ডন গ্রিনিজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে অবসর নিয়েছি, আজ ২০২০- ১২ বছর হয়ে গেল। এর আগেও আমি বলেছিলাম, যখন অবসর নেবো তারপরই আমি বোর্ডে কাজ করব। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না।”
যদি বোর্ডে কাজ করার সুযোগ পেতেন, তাহলে মাঠ থেকে নতুন খেলোয়াড় তৈরি করতেন। এসির রুমে বসে হুকুম দিতেন না। তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, আমি খেটে খাওয়া লোক, আমাকে রোদে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেন। আমি চাই না ওই এসি রুমে বসে আরাম করা। কারণ আমি মাঠ পছন্দ করি, আমাকে মাঠের কাজে দেন।”
“যেটা নিয়ে আমি কাজ করব যে কাজে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা উঠে দাঁড়াবে, বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরবে, যেখানে বাংলাদেশ ভালো নতুন খেলোয়াড় খুঁজে পাবে। আমি ওই এসির ভেতর বসে থেকে মানুষকে হুকুম দিতে চাই না। খেলোয়াড়দের শিখাতে চাই।”– যোগ করেন রফিক।
প্রসঙ্গত যে, ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় রফিকের। এরপর থেকে ১২৫ ওয়ানডে খেলে ১১৯১ রান এবং উইকেট শিকার করেছেন ১২৫টি। এছাড়া ৩৩ টেস্টে ১০৫৯ রানের পাশাপাশি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ উইকেট শিকার করেন তিনি।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন