শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   গোপনে আবারো লক্ষ টাকা যাদেরকে অনুদান দিলেন তামিম

গোপনে আবারো লক্ষ টাকা যাদেরকে অনুদান দিলেন তামিম

Avatar

বুধবার, এপ্রিল ২৯, ২০২০

প্রিন্ট করুন

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। তখন আর্তমানবতার সেবায় দু’হাত উজাড় করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। কোভিড-১৯ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত খেলোয়াড়দের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তিনি। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তামিমের সাহায্য পেয়ে বেশ খুশি ভুক্তভোগী খেলোয়াড়েরা।

করোনার শুরু থেকেই এর বিপক্ষে লড়ে যাচ্ছেন তামিম। নিজ উদ্যোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের একমাসের বেতনের অর্ধেক দিয়ে ফান্ড গঠন থেকে শুরু, এরপর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সময় নানানরকম সাহায্য সহযোগীতা করে চলেছেন তামিম। সবশেষ দেশের ৯১ জন খেলোয়াড়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ড্যাশিং ওপেনার।

শুধু ক্রিকেটই নয়, যেকোনো খেলার যেকোনো খেলোয়াড় অনটনে আছেন কীনা সেই খোঁজ নিয়ে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন তামিম। রাজশাহী শহরে এমন কোনো খেলোয়াড় আছে কীনা জানতে ক্রিকেটার মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে মিজানুর ৪ থেকে ৫ জনের একটি তালিকা পাঠান তামিমকে।

এ প্রসঙ্গে মিজানুর বলেন, ‘শুরুতে আমার কাছে কিছু ভুক্তভোগী খেলোয়াড়ের ফোন নাম্বার চেয়েছিল। আমি সামনে যারা আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করলাম। এখানে একটা ভালো দিক হচ্ছে, অনেকেই বলেছে ভাই আমার আপাতত যা অবস্থা তাতে আরও কয়েকমাস চলতে পারবো। আমার থেকে যারা একটু খারাপ অবস্থায় আছে, তাদের একটু সাহায্য করেন।’

সিলেটে অসহায় ও ভুক্তভোগী খেলোয়াড়দের তালিকা চেয়ে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রাজিন সালেহের সাথে যোগাযোগ করেন তামিম। সেখান থেকে রাজিন ১২-১৩ জনের নাম পাঠান।

রাজিন জানান, পরবর্তীতে তামিমের পাঠানো সাহায্য পেয়ে প্রথম শ্রেণির একজন ক্রিকেটার কাঁদোকাঁদো কণ্ঠে ফোন দিয়ে বলে, টাকাটা পেয়ে মাত্র বাজার করলাম। রাজিন বলেন ‘দুই দিন আগে তামিম ফোন করেছিল। আমাকে বলে, রাজিন ভাই আপনাদের সিলেটে কোনো খেলোয়াড় আছে যারা ভুক্তভোগী? যেকোনো খেলার খেলোয়াড় হোক। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি; যেকোনো খেলারই হোক। তো আমি বললাম ঠিক আছে, আমাকে একটু সময় দাও।’

‘হিসেব করলে তো অনেক খেলোয়াড়ই পাওয়া যাবে। তবে চোখের সামনে যারা আছে, যারা প্রথম বিভাগে খেলতেছে, তরুণ যারা, কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার আছে; যারা ভুক্তভোগী। তো এমন করে আমি ১২ থেকে ১৩ জনের একটা তালিকা দিয়েছি তামিমকে। পরে তামিম আমাকে বলে, রাজিন ভাই আমি এটা পাঠিয়ে দিচ্ছি।’ সাথে আরও জানান তিনি।

তালিকা করার পরের ঘটনা বলতে গিয়ে রাজিন জানান, ‘এরপর সেখান থেকে প্রথম শ্রেণির একজন ক্রিকেটার আমাকে ফোন দিয়ে কাঁদোকাঁদো কণ্ঠে বলে, ভাই তামিম ভাইয়ের টাকাটা পেয়ে আমি মাত্র বাজার করলাম।’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন