শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   আমার দেখা বিশ্বসেরা পেসার সেইঃ ওয়ার্নার

আমার দেখা বিশ্বসেরা পেসার সেইঃ ওয়ার্নার

Avatar

রবিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২০

প্রিন্ট করুন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বরাবরই বোলিং নির্ভর দল। ২০১৬ সালে বোলারদের নৈপুণ্যেই প্রথম শিরোপা ঘরে তুলে অরেঞ্জ আর্মিরা। দারুণ বোলিং করে শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখে একের পর এক চমক দিয়ে পরের বছরই আইপিএলে ডাক পান এই কাটার মাস্টার। সেবার হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে সবার নজর কাড়েন এই বাঁহাতি পেসার। এমন বোলিংয়ের সুবাদে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতে নেন মুস্তাফিজ।

সম্প্রতি আইপিএলের সেই আসর নিয়ে আলাপকালে মুস্তাফিজদের বোলিং নৈপুণ্যের প্রশংসা করেছেন ওয়ার্নার। ভুবনেশ্বর কুমার, মুস্তাফিজ, বেন কাটিংদের নিয়ে দারুণ এক লাইনআপ ছিল হায়দরাবাদের। অনেক ক্লোজ ম্যাচ জিতে শিরোপাই জিতে নেয় দলটি, যাতে মূল অবদান বোলারদের।

সেই সুসময়ের স্মৃতিচারণ করে ওয়ার্নার বলেন, ‘২০১৬ সালে যেবার আইপিএল জিতলাম, সেটাই আমার আইপিএলের স্মরণীয় মুহূর্ত। সেবারের টুর্নামেন্টজুড়েই ভালো খেলেছিলাম আমরা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, আমরা বেশ কয়েকটা ম্যাচ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জিতেছিলাম। যার ফলে প্রত্যেকের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল।’

২৯ মে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ফাইনাল তাদেরই মাটিতে। ওয়ার্নারের ভাষ্য, ‘বেঙ্গালুরুতে বেঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলতে নেমেছিলাম। ওরা কতটা শক্তিশালী তা আমরা জানতাম। বিরাট কোহলি কেমন খেলছিল, তা সবারই জানা ছিল। সেই বছর কোহলি ৯৬০ রান করেছিল। ছিল ক্রিস গেল, এবি ডি ভিলিয়ার্স।

আমরা টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিই। রান তাড়া করতে দারুণ দক্ষ তারা।’ তবে ওয়ার্নারের আস্থা ছিল ভুবনেশ্বর-মুস্তাফিজদের প্রতি, যার প্রতিদান পেয়েছিলেন হাতেনাতে। ওয়ার্নার বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, প্রথমে ব্যাট করে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখাই আমাদের আসল শক্তির জায়গা।

আমাদের বোলিং দারুণ শক্তিশালী ছিল। ১০ ওভারে ওদের রান যখন এক উইকেটে ১৪৫, তখন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। দারুণ এগোচ্ছিল ওরা। তার পরেই দুটো উইকেট নিই। এতেই আমাদের স্পিরিট বেড়ে গিয়েছিল।’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন