শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   করোনায় বড় বিপদের মুখে সাকিব

করোনায় বড় বিপদের মুখে সাকিব

Avatar

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৬, ২০২০

প্রিন্ট করুন

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় খুলনাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত কুঁচে ও কাঁকড়া রফতানি বাণিজ্যে ধস নেমেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়াই কুঁচে ও কাঁকড়া উৎপাদনে নিয়োজিত প্রান্তিক চাষিরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। অসংখ্য কুঁচে ও কাঁকড়ার খামারে মড়ক দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় চিংড়ি মাছের পাশাপাশি কুঁচে ও কাঁকড়ার চাষ হয়। স্বল্প বিনিয়োগে অধিক মুনাফার আশায় হাজার হাজার মানুষ কুঁচে ও কাঁকড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। খুলনা বিভাগের সব থেকে বেশি পরিমাণে কুঁচে ও কাঁকড়ার খামার রয়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়।

সেখানের পারুলিয়া, উজিরপুর, শ্যামনগর ও মুন্সীগঞ্জ বাজারের ডিপোগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কাঁকড়া ও কুঁচে কেনাবেচা হয়। এছাড়া খুলনার দাকোপ ও কয়রা উপজেলাতেও ব্যাপকহারে কাঁকড়া চাষ হয়ে থাকে। সুন্দরবন নির্ভর এই কাঁকড়া চাষিরাও পড়েছেন বিপাকে। এ দিকে, সাতক্ষীরায় বৃহৎ একটি কাঁকড়ার খামার রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানের। সাকিবের এ খামার থেকে গত দুই বছরে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছে।

ফলে এ অঞ্চলে এককভাবে কাঁকড়া ‘চাষিদের’ মধ্যে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে তাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ‘সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’ নামে কাঁকড়া খামারের দায়িত্বরতরা কয়েকটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমানে কাঁকড়ার খামারিদের দুর্দিন চলছে। চীনের করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের খামারটি অনেক বড়। তাই লোকসানের পরিমাণটা বড়ই হতে পারে।’

কাঁকড়া ও কুঁচের একমাত্র আমদানিকারক দেশ চীন। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে চীনে রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে কাঁকড়া ও কুঁচে কেনাবেচায় ব্যাপক ধস নেমেছে। যে কাঁকড়া ২ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হতো তা এখন মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরে জেলায় ৩১০ দশমিক ৯ হেক্টর জমিতে কাঁকড়া চাষ হয়।

ওই জমি থেকে দুই হাজার ১৯০ দশমিক ৪ মেট্রিক টন ও সুন্দরবন থেকে এক হাজার ১০৯ মেট্রিক টন কাঁকড়া সংগ্রহ করা হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, তারা চীনের আমদানিকারকদের কাছে ১৫০ কোটি টাকা পাবেন। এর ফলে এক দিকে তাদের ব্যবসা বন্ধ হতে শুরু হয়েছে।

অপরদিকে পাওনা টাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন আড়তদাররা। অচিরেই চীন যদি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে তাহলে কুঁচে ও কাঁকড়া চাষে বিপর্যয় অনিবার্য। সূত্র: অনলাইন

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন