শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   দেখেনিন ৩য় দিনের খেলা শেষে কত রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

দেখেনিন ৩য় দিনের খেলা শেষে কত রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

Avatar

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২০

প্রিন্ট করুন

নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ তকমাটা অনেক আগেই পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। গত ৫-৬ বছর ধরে দেশের সেরা ব্যাটসম্যানও তিনি। তার নামের আগে কেনো সেরা ব্যাটসম্যান অথবা মি. ডিপেন্ডেবল তকমাগুলো ব্যবহার করা হয়- তা প্রতিনিয়তই প্রমাণ করে চলেছেন মুশফিক।

যার সবশেষ উদাহরণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি মিরপুর টেস্ট। দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে নিয়েছেন তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের পক্ষে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যানও ছিলেন তিনি। মুশফিক ব্যতীত আর কারও নেই দুইটি দ্বিশতকের কৃতিত্ব। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান করেছেন ১টি করে ডাবল সেঞ্চুরি।

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ এরই মধ্যে চড়েছে রানপাহাড়ে। যার বড় অবদান মুশফিকুর রহীমের। নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটি, মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির পর- তাদেরকে ছাড়িয়ে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিক।

ইনিংসের শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা মুশফিক, তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে গিয়ে পৌঁছেছেন নিজের দ্বিশতকে। আইন্সলে দলুভুর অফস্টাম্পের বাইরের বলে স্কয়ার কাট করে কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ডাবল সেঞ্চুরির পর উদযাপনটাও খাপছাড়াই করেছেন মুশফিক।

প্রায় আট ঘণ্টার কাছাকাছি সময় ব্যাট করে ৩১৫ বল মোকাবেলা করে ২৮ চারের মাধ্যমে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন মুশফিক। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার আগের দুইটি ডাবল সেঞ্চুরিই ছিলো উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে। এবারই প্রথম পুরোপুরি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে দুইশ রানের গণ্ডি পেরোলেন মুশফিক।ব্যাট করতে নেমে দুই বলে দুই উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের। নাইম হাসানের ঘূর্ণিতে শুরুতে শেষ জিম্বাবুয়ে।এই মুহুর্তে ৫ওভারে ২ উইকেটে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ রান।দিনশেষে টাইগারদের লিড ২৮৬ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসঃ ২৬৫/১০ (১০৬.৩ ওভার)
(আরভিন ১০৭, মাসভাউরে ৬৪; নাঈম ৪/৭০, রাহি ৪/৭১)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসঃ ৫৬০/৬ (১৫৪ ওভার)
(মুশফিক ২০৩*, তাইজুল ১৪*)

বাংলাদেশ একাদশঃ তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশঃ প্রিন্স মাসভাউরে, কেভিন কাসুজা, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ব্রেন্ডন টেলর, টিমিসেন মারুমা, সিকান্দারা রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), ডোনাল্ড তিরিপানো, চার্লটন টিসুমা, এইন্সলে এনডিলোভু ও ভিক্টর নায়াউচি।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন