শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   দুই মেহেদীতে কাঁপছে বিপিএল

দুই মেহেদীতে কাঁপছে বিপিএল

Avatar

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

‘যেদিন ছন্দে থাকো, সেদিন ইনিংস শেষ করে আসো’- যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য সাধারণ নির্দেশই বলা চলে এটিকে। কেননা দলের সব ব্যাটসম্যান একসঙ্গে ভালো খেলবে, এমনটা কেউই আশা করে না। তাই যে ম্যাচে যার ব্যাটে আগুন খেলে যায়, তার কাছেই ম্যাচ জেতানো ইনিংসের দাবি থাকে দলের।

কিন্তু এ কাজেই টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন ঢাকা প্লাটুনের তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান। প্রমোশন পেয়ে লোয়ার অর্ডার থেকে তিন নম্বরে নামার সুযোগ পেয়ে পরপর দুই ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করেছেন মেহেদি। সোমবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ২১ বলে ফিফটির পর আউট হয়ে যান ২৯ বলে ৫৯ রানে।

একই ধারা বজায় রেখেছেন আজ (মঙ্গলবার) সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচেও। এদিন তার ফিফটি এসেছিল ২৩ বলে কিন্তু আউট হয়ে গেছে ২৮ বলে ৫৬ রান করে। দুই ম্যাচেই তিনি জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার। কিন্তু দুই ফিফটির একটিতেও তিনি অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে বের হতে পারেননি।

মেহেদী হাসান রানা জন্ম ১ জানুয়ারী ১৯৯৭ চাঁদপুরে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তাকে অনূর্ধ্ব -১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের দলে জায়গা দেওয়া হয়েছিল।

তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন নভেম্বর ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নিলামে তাকে সিলেট সিক্সার্স দলের জন্য দলে জায়গা দেওয়া হয়েছিল।

নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন মেহেদী হাসান রানা। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ডানা মেলেছেন তিনি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ২২ বছর বয়সী বাঁ-হাতি এ পেসার সব আলো কেড়ে নিয়েছেন! বল হাতে পাওয়া সাফল্যই তার প্রেরণা। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হকের আদরের দুলাল মেহেদী। তিনি বলেন, ‘এখন বিপিএল নিয়ে ভাবছি।

এখানে নিজের সেরাটা দিতে চাই। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখি।’ ২০১০-১১ সালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হওয়া পেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তুলে আনা হয় মেহেদী রানাকে। সম্ভাবনাময় একজন পেসার হিসেবে সে সময় কোচদের নজর কেড়েছিলেন তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও ছিলেন। কুঁচকির চোটের কারণে ইংল্যান্ডে গেলেও ২০১৪’র যুব বিশ্বকাপ খেলা হয়নি। অবশ্য ২০১৬’র বিশ্বকাপে তিনি খেলেছেন। হার্নিয়ার অপারেশনের কারণে ১৮ মাস খেলার বাইরে ছিলেন। চোটের কারণে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি তার। মেহেদী মনোবল হারাননি, নতুন উদ্যমে সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে চান। এজন্য বিপিএলকে পাখির চোখ করেছেন।

বাংলাদেশের তারকা পেসাররা জ্বলে উঠতে পারেননি। ব্যতিক্রম মেহেদী রানা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাঁহাতি পেসার বল হাতে নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন। স্নায়ুচাপের ম্যাচে মাথা ঠাণ্ডা রেখে বোলিং করে দলকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন। ঢাকা প্লাটুনের পর কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ম্যাচেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন।

চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলিং মেহেদী রানা। চার ম্যাচে মোট ১২ উইকেট শিকার করেছেন। প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে ১ উইকেট পান। শুরুর ম্যাচ ভালো হয়নি। এরপর থেকেই নিজেকে মেলে ধরেন সম্ভাবনাময় এই পেসার। তার পারফরম্যান্স ছিল- দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ৪/২৩, তৃতীয় ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৩/২৩ এবং চতুর্থ ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৪/২৮।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন