এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগামী বছরের ২৯ অক্টোবরের আগে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন না তিনি। ২৯ অক্টোবরের আগেই এই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বলা হচ্ছে, সেখানে সাকিবের খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে সাকিবভক্তরা একটু আশার আলো খুঁজে নিতেই পারেন।
বাজিকরের প্রস্তাব অবহিত না করায় সাকিব আল হাসানকে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। এর মধ্যে পরবর্তী ১ বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা, যা প্রয়োগ হবে সহজ কিছু শর্ত কোনো কারণে সাকিব পূরণ করতে না পারলে। আপাতদৃষ্টিতে নিষেধাজ্ঞা তাই ১ বছরের।
এই ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব মাঠে ফিরতে পারবেন আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর। এর আগে বাংলাদেশ খেলবে ৩৬টি ম্যাচ। যার মধ্যে রয়েছে ১৩টি টেস্ট, ২০টি টি-টোয়েন্টি ও মাত্র ৩টি ওয়ানডে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই সাকিব ফিরবেন দলে, যদি টাইগাররা প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে জায়গা করে নেয় সুপার টুয়েলভে। অবশ্য অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির দলগুলোর বিপক্ষে লড়াই করে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নেওয়া কঠিন কিছু নয়।
অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। ১৯ অক্টোবর হোবার্টের ওভালে ওই আসরের তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের টি-২০ বিশ্বকাপ মিশন। এরপর ২১ অক্টোবর, ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের খেলা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচগুলোতে খেলতে পারবেন না সাকিব।
কিন্তু বাংলাদেশ যদি সেমিফাইনালে যেতে পারে তাহলে ১১ ও ১২ নভেম্বরের যে কোনো একদিন খেলা থাকবে টাইগারদের। তখন সাকিবের নিষেধাজ্ঞাও থাকবে না। ১৫ নভেম্বর ওই বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং ২০২০ বিশ্বকাপে যদি সেমিফাইনালে উঠেই যায় বাংলাদেশ তবে সাকিব আল হাসানের খেলার আশা থাকছে। তবে এর সঙ্গে অনিশ্চয়তাই জড়িয়ে আছে বেশি।
বর্তমান পারফরমেন্সের বিবেচনায় বাংলাদেশ টি-২০ তে খুবই দুর্বল দল। টি-২০ তে বাংলাদেশের র্যাংকিং আফগানিস্তানেরও নিচে। তাই আগামী টি-২০ বিশ্বকাপে সাকিববিহীন প্রথম পর্ব পেরিয়ে গিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখাটা অযৌক্তিকই বটে। আর যদি বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেও যায় তখন এক বছর ক্রিকেটে বাইরে থাকা সাকিব একাদশে সুযোগ পাবেন কিনা সেটাও এক বড় প্রশ্ন।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন