দীপক আগারওয়াল। ২৪ ঘণ্টা আগেও যে লোকটির নাম কেউ জানতেন না, সেই ভারতীয় বাজিকরের নাম এখন সবার কাছে ঘৃণিত, নিন্দিত। তিনিই সেই বাজিকর যিনি সাকিব আল হাসানকে ফিক্সিংয়ের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন।
ভারতীয় বাজিকর দীপকের দৌরাত্ম্য ক্রিকেট আঙিনায় দীর্ঘদিনের। আইসিসির কালো তালিকাভুক্ত তিনি। ২০১৭ সালে একবার আটক হলেও যথেষ্ট অভিযোগ নেই বলে তিনি বারবার থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ জুয়াকে এখনো অনেক ক্ষেত্রে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না।
তবে অপরাধ জগতে দীপক ঘৃণিত ব্যক্তিদেরই একজন। তার কারণে ২০১১ সালে ভারতে দুই ক্রিকেটার আত্মহত্যা করেন।
এক উঠতি ক্রিকেটারকে অর্থের লোভ দেখিয়ে বাজিকর বানিয়েছিলেন দীপক। মানুষের কাছ থেকে ধারকর্জ করে আনা টাকাপয়সা হারান জুয়াতে ব্যবহার করে। টাকার চাপে ও দীপকের হুমকিতে পরে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার নোটে লিখে যান দীপকের কথা। এই ঘটনায় দীপকের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলেও কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
একইভাবে ভারতের আরেক তরুণ ক্রিকেটার দীপকের ফাঁদে পড়ে শেষমেশ বেছে নেন আত্মাহুতির পথ। যদিও এই মৃত্যুতে আরও অনেকের প্রভাব ছিল বলে উল্লেখ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সাকিবকে তিনবার ফিক্সিংয়ের লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া দীপক বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের মন গলাতে পারেননি। কিন্তু দীপকের মুঠোফোন ট্র্যাক করে আকসুর কর্মকর্তারা সাকিবের সাথে কথোপকথনের তথ্যাদি পান। সেই কারণেই সাকিবের ব্যাপারে তথ্য না জানানোর অভিযোগ ওঠে। ছোটখাটো সেই ভুলে সাকিব আইসিসির আইন অনুযায়ীই পেয়েছেন ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও আরও ১ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা।
সূত্রঃ বিডিক্রিকটাইম
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন