ঘটনা ১ঃ
২০১৫ সালে তিনি ওয়ার্ল্ডকাপের সময় ক্যাসিনোতে গেলেন যা কিনা সম্পূর্ণ নিয়ম বিরুদ্ধ। দুজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারকে জুয়া খেলতে দেখেছেন। খালেদ মাহমুদ বলেন, খেলার পর তো আমরা খেতে যাই। সেখানে গিয়েছিলাম খেতে। জুয়া খেলায় অংশ নেননি বলেও দাবি করেন খালেদ মাহমুদ।
এমন ঘটনায় দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উল্লেখ করে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি তো আর দলে খেলি না। আমার কারণে দলে প্রভাব পড়বে, এমন কিছু নয়। আমার সম্পর্কে খেলোয়াড়দের ভালো ধারণা আছে। মনে করি না, এটা অনেক বড় ইস্যু। আসলে খাওয়ার জায়গার সঙ্গেই ওই ক্যাসিনো। কদিন আগেই টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি ছাড়া রাতে হোটেলের বাইরে যাওয়ার অপরাধে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বাংলাদেশ দলের পেস বোলার আল আমিন হোসেনকে।
আল আমিনের প্রসঙ্গ তুলতেই টিভি চ্যানেলকে বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক বললেন, আল আমিন একজন খেলোয়াড়। তার জন্য অবশ্যই নিয়মনীতি রয়েছে। নিয়মনীতি সম্পর্কে আমি ভালোই অবগত আছি। আমার খাওয়ার দরকার ছিল, খেতে গিয়েছি। দলের ম্যানেজার হিসেবে আমাকে কাউকে বলতে হবে, সেটা মনে করি না।
এই ঘটনার পরই তার নাম হয় ক্যাসিনো সুজন।
ঘটনা ২ঃ
হাথুরুসিংহ যখন জাতীয় দলের কোচ পদ থেকে রিজাইন হন তখন পেসার তাসকিন আহমেদ মিডিয়াতে এসে বললো,“হাথুরু আমাদের বকা দিতো, আর সুজন চাচা আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতো।” ফলাফল পরের ২ ম্যাচে ভারতের সাথে ৩ ওভারে ২৮ রান ও শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩ ওভারে ৪০ রান খরচ করেন তাসকিন।
ঘটনা ৩ঃ
গত বছর যখন দেশের মাটিতে আমরা সব সিরিজ হেরে গেলাম শ্রীলংকার সাথে তখন দলের এনালাইসিস না করে তিনি বললেন, “আমরা হাথুরু হাথুরু করে ম্যাচ হেরেছি। বিসিবি জায়গাটা নোংরা। আমি আর এখানে কাজ করবো না। বিসিবিতে মানুষের কাজ করার পরিবেশ নেই। কাজ করব না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বাঙালি কেউ কাজ করলেই সবচেয়ে বড় সমস্যা। দল হেরে যাওয়ার পরও যে আমি এই দেশে আছি, এটাই বড় কথা। আমি সুজন এত বছর যা করেছি, কখনও শুনিনি ভালো কিছু করেছি। শুধু শুনি খারাপই করেছি। সোশ্যাল মিডিয়া বলেন বা মিডিয়া, আজকে এমনও শুনি যে রাস্তায় গেলে নাকি মারও খেতে হতে পারে। ক্রিকেট খেলার জন্য রাস্তায় মার খেতে হলে তো খুব বিব্রতকর ব্যাপার। এত বছর ধরে আমি কাজ করছি, সবসময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করেছি। আমার কোনো স্বার্থ নেই। ক্রিকেট বোর্ডে থাকাটাও আমার কোনো স্বার্থের ব্যাপার নয়। আমি সত্যি বলতে আগ্রহী নই (দায়িত্ব চালিয়ে যেতে)।”
ঠিক এই কথার দুদিন পরে তিনি বিসিবি ভবনে এসে বলেন আমি দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চাই।
ঘটনা ৪ঃ
এই বছরের শুরুর দিকের কাহিনী। আবহানীতে খেলছেন সৌম্য সরকার। শুরুর দিকে ৩৮, ৪৫, ৩১ এরকম রান পাচ্ছিলেন। হঠাৎ সুজন কাকা বললেন জাতীয় দলের কোচের আন্ডারে থেকে সৌম্যর অনেক টেকনিক্যাল সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। ব্যাস তারপর ৭ ম্যাচে সৌম্যর রান সব মিলিয়ে ৮৯ রান। ভাগ্যিস সেই যাত্রায় সৌম্যর সঙ্গী হয়েছিলেন ওয়াসিম জাফর আর স্টিভ রোডস। নাইলে ১০০ আর ২০০ দেখা লাগতো না।
ঘটনা ৫ঃ
নিউজিল্যান্ডের সাথের ম্যাচের কথা মনে আছে? কোচ আর অধিনায়ক মিলে আলোচনা করছিলেন। ম্যানেজমেন্টের দুজন অন্যদিকে দেশী রেডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের ফোনে স্ট্রিম শুনছিলেন। সেখানে বলা হয় ৩০০ এর পিচ। অথচ অধিনায়ক আর কোচ ধারণা করে বললেন এটা ২৬০-২৭০ এর পিচ। তাই ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানদের কাছে নির্দেশ গেলো মেরে খেলো। ফলাফল আপনি আমি দুজনই জানি। এই ম্যানেজমেন্টের দুজনের মধ্যে একজন নাকি ক্রিকেটারদের অতি কাছের মানুষ। আমি আর নাম বললাম না। আপনারাই বুঝে নেন তারা কারা।
এবার হয়েছেন আপদকালীন কোচ। এমনিতেও গ্যালাক্সি লেভেলের মানুষ থেকেই যা করেছেন যদি শ্রীলংকার ভাঙ্গাচুরা দল আমাদের ৩-০তে লংকা ডলা দিয়ে ওয়াশ করেছে। যে দেশে একটা সুজন নামের গ্যালাক্সি আছে সেখানে রোডস বাদ দেন খোদ গ্যারি কার্স্টেনও টিকবেন না।দলের এমন অবস্থার মাঝে ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনকে কলম্বোর ‘বেলিস ক্যাসিনো’তে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায় সুজন একজন নারী ওয়েটারের হাত থেকে ব্যাংকের এটিএম অথবা ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করছেন। এরপর তিনি এগিয়ে যান একটি জুয়ার টেবিলের দিকে।
#সংগৃহীত ও পরিমার্জিত
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন