ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করেছে উইন্ডিজ। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২১০ রানের। জবাবে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
ফিরলেন মিঠুনওঃ- অ্যালেনের লেগ বিফোরের ফাঁদে পা দেন মিঠুন। ১৪ বলে ১৭ করে বিদায় নেন তিনি।
ঝলক দেখিয়ে মুশফিকের বিদায়ঃ- সৌম্য ফেরার ঠিক পরের ওভারে অ্যাশলে নার্সের ওভার থেকে ১৭ রান আদায় করেন মুশফিক। কিন্তু তাঁকেও বিদায় করেন রেইফার। ২২ বলে দুটি চার ও দুটি ছয়ে ৩৬ রান করে বিদায় নেন তিনি।
সৌম্যের বিদায়ে স্বস্তির সুবাতাস উইন্ডিজ শিবিরেঃ- দলকে ভালো সূচনা এনে দিয়ে ফিরেছেন সৌম্য। তাঁর মহামূল্যবান উইকেটটি নিয়েছেন রেইমন রেইফার। ফেরার আগে ৪১ বলে ৬৬ রান করেন সৌম্য। ইনিংসে ছিল নয়টি চার এবং তিনটি ছক্কার মার। আসরে এটি তাঁর টানা তৃতীয় ফিফটি।
‘সৌম্য’ সাইক্লোনে উড়ছে বাংলাদেশঃ- আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে মাত্র ২৭ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। প্রায় প্রতি ওভারেই চার ছয় হাঁকিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তিনে নেমে ব্যর্থ সাব্বিরঃ- এদিনে তিনে নামেন সাব্বির। গ্যাব্রিয়েলের একই ওভারের শেষ বলে শুন্য রানে ফিরেছেন তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ দিনে ব্যর্থ তামিমঃ- ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ফিরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ফাইনালের মহা গুরুত্বপূর্ণ দিনে ১৩ বলে ১৮ রান করে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে জেসন হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
সৌম্যের আগ্রাসী সূচনাঃ-
বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী সূচনা করেছেন সৌম্য সরকার। প্রতি ওভারে চার ছয় হাঁকিয়ে ৪.৫ ওভারের মধ্যে দলের ফিফটি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসের বিবরণঃ-
ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিস ও শাই হোপের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় উইন্ডিজ।
মাত্র ১৭.৫ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় শতকে পৌঁছে যায় তাঁরা। তারপর ২০.১ ওভারের সময় বৃষ্টি হানা দেয় বাংলাদেশ উইন্ডিজ ম্যাচে।
সেসময়ে উইন্ডিজের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩১ রান। এরপর প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা বন্ধ থাকে খেলা। বৃষ্টি থামার পর রাত ১০.৩০ মিনিটে আবারো শুরু হয় ম্যাচ। বৃষ্টির কারণে খেলা কমিয়ে ২৪ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।
এরপর ইনিংসের ২৩ ওভারে মেহেদি মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন হোপ। ৬৪ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭৪ রান করে ফেরেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ২৪ ওভারে এক উইকেটে ১৫২ রানে থেমেছে উইন্ডিজ। ৭৮ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যামব্রিস। ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য এসে দাঁড়ায় ২৪ ওভারে ২১০ রানের।
উইন্ডিজঃ ১৫২/১ (২৪ ওভার)(অ্যামব্রিস ৬৯*, হোপ ৭৪; মিরাজ ১/২২)
বাংলাদেশঃ- ২১৩ /৫ ২২.৫ ওভার (বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য ২৪ ওভারে ২১০ রান)
বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
বাংলাদেশ একাদশঃ তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।
উইন্ডিজ একাদশঃ শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), সুনীল আমব্রিস, ড্যারেন ব্রাভো, রস্টন চেজ, জোনাথান কার্টার, জ্যাসন হোল্ডার (অধিনায়ক), ফাবিয়ান অ্যালেন, রেইমন রেইফার, অ্যাশলে নার্স, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন