শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   সেই চিকিৎসককে সরি বলেছেন মাশরাফি

সেই চিকিৎসককে সরি বলেছেন মাশরাফি

Avatar

মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

২৫ এপ্রিল নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে বিনা ছুটিতে চার চিকিৎসককে অনুপস্থিত দেখে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের তাগা দিয়েছিলেন স্থানীয় সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা। ঝটিকা সফরের ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর চার চিকিৎসককে প্রথমে কারণ দর্শানো নোটিশ, এরপর সোমবার সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ক্রিকেট তথা যেকোনো ধরনের খেলাধুলায় সমর্থকদের ব্যাপারে খুবই প্রচলিত একটি কথা- মাঠে খেলেন খেলোয়াড়রা এবং মাঠের বাইরে খেলেন সমর্থকেরা। কথাটি পুরোপুরি সত্য। আগে যেমন শুধু গ্যালারিতেই চলতো সমর্থকদের কথার লড়াই, এখন সেটি স্থানান্তরিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব আলোচনায় প্রত্যক্ষভাবেই জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। প্রায়ই দেখা যায় বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপের বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হন তারকা ক্রিকেটাররা। যেখানে ভক্তদের সঙ্গে কাটান কিছু সময়, তাদের উপহার দেন স্মরণীয় সব মুহূর্ত।

কিন্তু তাই বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যে শুধু ইতিবাচক দিকই রয়েছে তা কিন্তু নয়। ফেসবুক তথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো খেললে যেমন মেলে প্রশংসা ও স্তুতিবাক্য, তেমনি ফলাফল পক্ষে না এলে ক্রিকেটারদের ধুয়ে দিতেও ছাড়েন না সমর্থকরা।

অন্যদিকে চিকিৎসকের সাথে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় চিকিৎসক সমাজ এবং সমাজের নানা স্তরে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে মাশরাফি বলেছেন, তিনি যে অবস্থান নিয়েছেন সেটিই সঠিক বলে মনে করেন। তবে তার ওই দিনের ফোনালাপের ভাষায় যদি ওই চিকিৎসক কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে তিনি দুঃখিত। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এসব কথা বলেন মাশরাফি।

বিশ্বকাপগামী বাংলাদেশ দলের জার্সি উন্মোচন এবং অফিসিয়াল ফটোসেশনের আয়োজন ছিল এদিন। বিশ্বকাপ সম্পর্কিত নানান প্রশ্নের ফাঁকে অধিনায়ক মাশরাফিকে নড়াইলের চিকিৎসকদের ঘটনাটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। এসময় নড়াইল-২ আসনের এই সাংসদ বলেন, ‘আসলে অল্প কথায় ঘটনাটা বোঝানো সম্ভব নয়। ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তবে এটুকুই শুধু বলি, সেদিন আমি হাসপাতালে গিয়ে যা দেখেছি, তার ভিত্তিতে ওই ডাক্তারকে ফোন দিয়েছিলাম।

হয়তো আমার ফোনকলের ভাষায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তারপরও কিন্তু ওনার সঙ্গে আমার তিন থেকে চারবার কথা হয়েছে। আমি তাকে বলেছি, আমার ভাষায় যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি দুঃখিত। আর সেজন্য আমি জনসমক্ষে দুঃখিত বলতে রাজি আছি। কিন্তু যে কারণে আমি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি, আমি মনে করি সেটা সঠিক ছিল। এটা থেকে আমি সরে আসবো না।’

হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে হাজিরা খাতা দেখা, স্টোর রুম পরিদর্শন ও চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে যাওয়া মাশরাফি বলেন, ‘ওগুলো যে ভিডিও করা হচ্ছিল, সেটা আমি জানতাম না। পরে যে ভিডিও করেছিল, তাকে অনুরোধ করেছিলাম এটা যেন ফেসবুকে না দেওয়া হয়। কিন্তু আপনারা জানেন আমাদের সমাজব্যবস্থা যে ধরনের… ভিডিওটা ভাইরাল হওয়া থেকে আটকাতে পারি নাই।’ চিকিৎসকদের প্রতি তার সবসময়ই শ্রদ্ধাবোধ ছিল ও আছে উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, ‘আমার পরিবারেও ডাক্তার আছেন। আমি ডাক্তারদের কী পরিমাণ শ্রদ্ধা ও সম্মান করি সেটা আপনারা অতীতেও দেখেছেন। তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এখনো আগের মতোই আছে।’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন