ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ফর্মে রয়েছেন এনামুল হক বিজয়। শেষ পাঁচ ইনিংসে ব্যাট করে রান সংগ্রহ করেছেন ৩৯৩। হাঁকিয়েছেন টানা তিনটি শতক। ব্যাটিং গড় ৯৮.২৫। তার এমন দারুণ ব্যাটিংয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ ও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কোচ ইয়ান পন্ট।
এনামুল হক বিজয়ের এ ইনিংসগুলো নিয়ে টুইটারে একটি পোস্ট করে বিডিক্রিকটাইম ডটকম। ঐ পোস্টের কমেন্টে ইয়ান পন্ট লিখেন,
“২০১২ সালের বিপিএলে এই দারুণ মেধাবী ক্রিকেটারের শুরুতে কাজ করতে পেরে গর্বিত।” সেখানে জবাবে এনামুল হক বিজয় লিখেন, “আপনার কাছে কৃতজ্ঞ স্যার।” ইয়ান পন্ট জবাবে লিখেছেন, “বিপিএল বিজয়ী ভাই, তুমি নিজেকে একটি উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছ।”ব
২০১২ ও ২০১৩ সালের বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কোচ ছিলেন ইয়ান পন্ট। ঐ বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
২০১২ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে ১২ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ব্যাটিং করে ২৫.১৪ গড়ে সংগ্রহ করেন ১৭৬ রান। ২০১৩ সালে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতার স্বাদ পায় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ঐ বিপিএলেও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ১৪ ম্যাচ খেলে ২৭.৩৮ গড়ে ৩৫৬ রান করেন তিনি। অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন তিনটি। এছাড়া বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইয়ান পন্ট।
অন্যদিকে, বোলাররা তিন বলে তিন উইকেট নিলে সেটাকে বলে হ্যাটট্রিক। কিন্তু তিন বলে তিন উইকেট না নিলেও অন্যরকম এক হ্যাটট্রিক ঠিকই করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান লিটন দাস।শুধু হ্যাটট্রিকই নয়, একটি ডাবলের দেখাও পেয়েছেন লিটন দাস। কিন্তু কথা হল সেই হ্যাটট্রিক আর কি সেই ডাবল?
লিটন দাস নিউজিল্যান্ড সফরে রান করেছেন ১১১। এটাকে আবার কেউ একশত এগার রান ভেবে ভুল করবেন না। তার তিন ম্যাচের রানের সংখ্যা পাশাপাশি বসানোতেই এই সংখ্যাটি হয়েছে। তিন ম্যাচেই তার ব্যাট থেকে এসেছে এক রান করে।
এইতো গেল হ্যাটট্রিকের কথা। তাহলে ডাবল কি? হ্যা, সেটা হল এই ১ রান করতে আজ তার বল প্রয়োজন হয়েছে ৪টি। প্রথম ম্যাচেও তিনি ১ রান করেছেন ৪ বল খেলে। দ্বিতীয় ম্যাচে আবার চারের ডাবল বল খেলে অর্থাৎ ৮ বলে করেছিলেন ১ রান।
আর এত বাজে পারফরম্যান্সের পরেও বিশ্বকাপে ওপেনিং আছেন এই লিটন দাস।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন