বেয়ারস্টো-ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩১ রানের রেকর্ড গড়ার পর কোহলিদের ১১৩ রানে অলআউট করে দ্বিতীয় বড় হারের লজ্জা দিয়েছে সাকিব বিহীন হায়দরাবাদ।
২৩২ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নবীর ঘূর্ণীতে ৩৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালুরু। দ্রুতই ফিরে যান কোহলি-ভিলিয়ার্সরা। পরবর্তীতে গ্র্যান্ডহোমের ৩৭ রানে মান বাচায় তারা। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতেই ১১৩ রানে অলআউট হয় তারা। ফলে ১১৮ রানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় হারের লজ্জা পায় ব্যাঙ্গালুরু।
এর আগে হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে হায়দ্রাবাদকে আবারো দুর্দান্ত সুচনা এনে দেন দুই ওপেনার ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো। দুজনে পাওয়ারপ্লেতে যোগ করেন ৫৯ রান। প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলতে নেমে তৃতীয় ম্যাচেই মাত্র ২৮ বলে ঝড়ো অর্ধশতক তুলে নেন বেয়ারস্টো। অন্যদিকে টানা ৩ ম্যাচে টানা ৩ ফিফটি তুলে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
ফিফটির পর আরো আক্রমনাত্মক হোন বেয়ারস্টো। পরের ২৪ বলে অর্ধশতক করে মাত্র ৫২ বলে তুলে নেন আইপিএলে তার অভিষেক সেঞ্চুরি। যা অভিষেকে চতুর্থ দ্রুত গতির সেঞ্চুরি। ১৮৫ রানের রেকর্ড ওপেনিং জুটির পর ৫৬ বলে ১১৪ রান করে আউট হোন বেয়ারস্টো। অন্যদিকে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকা ওয়ার্নারও মাত্র ৫৫ বলে তুলে নেন আইপিল ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক। তাদের দুই সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২৩১ রানের রেকর্ড পুজি পায় হায়দ্রাবাদ।
এদিকে সাকিবকে বাদ দিয়ে দলে নেয়া নবী মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে নেয়। এদিকে সাকিব আর দলে চান্স পাবার কোন সম্ভাবনা দেখছেন নাহ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।এক্ষেত্রে যেহেতু বাংলাদেশের ত্রীদেশিয় সিরিজ সন্নিকটে তাই প্রস্তুতির জন্য দেশে ফিরবেন সাকিব।
হায়দ্রাবাদের একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, ঋদ্ধিমান সাহা, জনি বেয়ারষ্টো, মাণীশ পাণ্ডে, ইউসুফ পাঠান, মোহাম্মদ নবী, বিজয় শঙ্কর, রশিদ খান, ভুবনেশ্বর কুমার(অধিনায়ক, সিদ্ধার্থ কউল, সন্দীপ শর্মা।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর একাদশ: পার্থিব প্যাটেল, মঈন আলী, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), এবি ডি ভিলিয়ার্স, শিমরন হ্যাটমায়ার, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, শিভাম ডুবে, প্রয়াস বারমান, যুভেন্দ্র চাহাল, উমেশ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন