শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   টি ২০ স্টাইলে সেঞ্চুরি হাকিয়ে পাপনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে ইমরুল

টি ২০ স্টাইলে সেঞ্চুরি হাকিয়ে পাপনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে ইমরুল

Avatar

শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দশম শতকের দেখা পেলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই শতকের দেখা পেলেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে আবাহনী। জহুরুলের দুর্দান্ত এক শতকে (১৩০) ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান তোলে আবাহনী।জবাবে ব্যাট করতে নেমে খালি হাতেই ফেরেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ওপেনার রনি তালুকদার। এরপর দলীয় ৫৩ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রান তুলে ফেরেন আরেক ওপেনার মাইশুকুর রহমান।

তবে এরপর শামসুর রহমানকে সঙ্গে করে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইমরুল তুলে নেন লিস্ট-এ ক্যারিয়ারের দশম ক্যারিয়ার। ১০০ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় দুর্দান্ত শতকটি তোলেন তিনি।

কিন্তু দলীয় ১৯০ রানে তাকে থামিয়ে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচে দিয়ে ফেরার আগে ১০৮ বলে ১৫ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৬ রান তোলেন ইমরুল। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৬.৭৭।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত খেলছে ওপেনার আনামুল হক বিজয়। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। যদিও এরপর আর ফর্মে ফিরতে পারেননি তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে দুর্দান্ত খেললেও জাতীয় দলে বরাবরই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

তবে এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি করে কিছুটা আশা জাগালেও শেষপর্যন্ত হতাশ হচ্ছেন তিনি। তার সাথে হতাশ হতে হচ্ছে জাতীয় দলের আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসকে। আজ এক প্রকার বিশ্বকাপের স্কোয়ার্ড বলে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার দেওয়া তথ্য মতে এই স্কোয়াডে দেখা মিলবে না আনামুল হক বিজয় এবং ইমরুল কায়েসকে।

২৬ মার্চ উপলক্ষে আজ মিরপুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এক প্রীতি ম্যাচ শেষে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সাত নম্বরে যদি দেখেন কে কে আছে, সাইফুদ্দিন আছে, মিরাজ আছে,সাব্বির আছে।

আবার সৌম্য অনেক সময় নিচে নামতে পারে। কে খেলছে সেটা আমি এখনো জানি না। যদি ধরেন তামিম আর লিটন যদি ওপেন করে তাহলে তিন নম্বরে সাকিব খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি। ও ওখানে খেলতে চায়। চারে তো মুশফিক। পাঁচে মিঠুন বা এ রকম কেউ একজন। ছয়ে রিয়াদ। সাতে তখন সৌম্য আসতে পারে। এছাড়া আছে সাব্বির।

এখন সাব্বির আছে, সাইফুদ্দিন আছে। কারণ তিন পেসার তো খেলাবে। মোস্তাফিজ আর মাশরাফি তো কনফার্ম। আরেকটা পজিশনের জন্য রুবেল আছে। তাসকিন আছে। একটা স্পিনার যদি খেলাতে হয় মিরাজকে নিতে হয়। এর বাইরে কি থাকতে পারে। এর বাইরে মোসাদ্দেক থাকতে পারে।

আরেকটা পেসার নেওয়ার আমি কোন কারণ দেখি না। ব্যাটসম্যান হিসেবে সাত-আটের কথা ভাবলে মোসাদ্দেক আসতে পারে। আর তো জায়গা দেখি না। ওপেনার তো অলরেডি তিনজন আছেই। ওখানে চতুর্থ ওপেনার নেওয়ার কারণ নেই। চার-পাঁচ-ছয় বুকড।’

এখানেই পুরো একটি দল দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। দুই ওপেনার তামিম, লিটন, সঙ্গে সাকিব, মুশফিক, মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির/সৌম্য/সাইফউদ্দিন/মিরাজ, মাশরাফি, মোস্তাফিজ, রুবেল/তাসকিন। এখানেই হয়ে গেলো ১৪জন। ১৫ জনের দল করলে সেখানে থাকবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নাম।

তাহলে তো বিশ্বকাপে ১৫ জনের দল দাঁড়িয়েই গেলো। সুতরাং, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে তাহলে কোনো চমক থাকছে না? প্রশ্ন করা হলো বিসিবি সভাপতিকে। তিনি বললেন, ‘চমকের বিষয় এখানে না। আমরা ১৫ জনের একটা দল বানাব। আপনি যদি নামগুলো দেখেন তাইলেই তো বুঝবেন।’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন