সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম দুই ম্যাচে হেরে অনেকটা ব্যাকফুটে পাকিস্তান। এর অন্যতম কারণ দলের তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়া।
তবে অজিদের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তাদের বিশ্রাম দেয়ার বিষয়টি ভীষণ দৃষ্টিকটু ঠেকেছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির কাছে। তার মতে, অস্ট্রেলিয়া নয়, বাংলাদেশ কিংবা জিম্বাবুয়ের মতো দলগুলোর বিপক্ষে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম শোভা পায়।
চলতি সিরিজে বিশ্রামে আছেন পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড বাবর আজম, ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদ, শাদাব খানদের মতো ক্রিকেটাররা। দলের পাঁচ অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়াটাকে কিছুতেই ভালোভাবে দেখতে পারছেন না আফ্রিদি।
উত্তরে আফ্রিদি বলেন,
“খেলা যদি বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে বা ৭/৮ নম্বর দলের বিপক্ষে হতো তাহলে হয়তো আমি মানতাম সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া হোক। তবে খেলা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, তাদের বিপক্ষে রান পেলে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। যাদেরকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এমন না তারা ১৫ – ২০ ধরে ক্রিকেট খেলছে। তাই আমার মনে হয়না তাদের বিশ্রাম দেওয়া ঠিক ছিলো।”
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে নিজেদের শক্তিশালী দল নিয়েও সাকিব তামিম বিহীন বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল পাকিস্তান দলকে। পূর্বে ২০১৫ সালেও পাকিস্তানের মূল দলকে ওয়ানডে সিরিজে ৩ – ০ তে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ দল।
২০১৬ সালে এশিয়া কাপেও আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দলকে এশিয়া কাপে হারায় বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে গত ৫ বছরে শেষ ৬টি সীমিত ওভারের ম্যাচে ৫টিতেই পাকিস্তানের শক্তিশালী দলকে হারায় বাংলাদেশ দল।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে একের পর এক ওয়ানডে হেরে হেরে বেশ খর্ব শক্তির দলে পরিণত হয়েছে। আসন্ন বিশ্বকাপেও কোয়ালিফাই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। বর্তমান খর্ব শক্তির জিম্বাবুয়ে দলের সাথে বাংলাদেশকে তুলনা দেওয়ায় আফ্রিদির উপর বেশ চটেছে বাংলাদেশী ভক্তরা।পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ৩য় ওয়ানডে ২৭ তারিখ আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হবে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন