শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   ২ বছর ধরে হামলার নীল নকশা মেইন টার্গেট বাংলাদেশের খেলোয়াররা

২ বছর ধরে হামলার নীল নকশা মেইন টার্গেট বাংলাদেশের খেলোয়াররা

Avatar

শুক্রবার, মার্চ ১৫, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদসহ দুটি মসজিদে হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চার জন বাংলাদেশিও রয়েছেন। তাছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ৮ বাংলাদেশি। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না দুজন বাংলাদেশির।

এদিকে ঘটনার আগমুহুর্তে অনুশীলন শেষ করে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে হাগলি ওভাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন মসজিদ আল নুরে যাচ্ছিলেন টাইগাররা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে মসজিদে থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।

কিন্তু আগামী কালের ম্যাচ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ-ছয় মিনিট সময় বেশি ব্যয় করে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর এই পাঁচ মিনিটই যেনো বাঁচিয়ে দিয়েছে পুরো বাংলাদেশ দলকে। কেননা পাঁচ মিনিট আগে সংবাদ সম্মেলন শেষ করলে হয়তো মসজিদে আগেই যাওয়া হতো।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বেশি সময় লেগে যাওয়ায় মসজিদে পৌঁছতে প্রায় ১টা ৪০ মিনিট হয়ে যায়। আর এতেই যেনো বেঁচে যান তামিম, মুশফিক, তাইজুল, মিরাজরা। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরি হয়ে যাওয়ায় বাস থেকে নেমেই তড়িঘড়ি করে মসজিদের পথে পা বাড়ান মুশফিক- তামিমরা। এ সময় পথিমধ্যে তাদের আটকে দেন বাসের পাশেই গাড়িতে থাকা আহত এক নারী। তিনি মুশফিক-তামিমদের বারণ করেন সামনের দিকে যেতে।

এদিকে হামলাকারী হামলার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ ভিডিও করেছে। হামলার দুইদিন আগেও তিনি হামলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। মুসলিমবিদ্বেষী এই যুবক গতকাল বৃহস্পতিবার হামলার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে নজরে পড়তে ওই মসজিদে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা নামাজ পড়তে যেতে পারেন এই লক্ষ্য নিয়ে আজ হামলার পরিকল্পনা করেন বলে ধারণা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম সুত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় এই গোলাগুলি শুরু হয়। এক বন্দুকধারী জুম্মার আযানের পর স্থানীয় আল নুর মসজিদে হামলা চালায়। হামলায় ৪ বাংলাদেশিসহ অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

এদিকে বাংলাদেশ দলের বাস তখন মসজিদের সামনে। ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে মসজিদে ঢুকবেন, এমন সময় রক্তাক্ত শরীরের একজন মহিলা ভেতর থেকে টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ক্রিকেটাররা তখনো বুঝতে পারেননি ঘটনা কী। তাঁরা হয়তো মসজিদে ঢুকেই যেতেন, যদি না বাসের পাশের একটা গাড়ি থেকে এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলতেন, ‘ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। আমার গাড়িতেও গুলি লেগেছে। তোমরা ভেতরে ঢোকো না।’

এ সময় ক্রিকেটাররা তখন বাসেই অবরুদ্ধ হয়ে আটকা পড়ে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। কারণ পুলিশ ততক্ষণে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বাসে বসেই তাঁরা দেখতে পান, মসজিদের সামনে অনেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। অনেকে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বেরিয়ে আসছেন মসজিদ থেকে। যা দেখে আতঙ্কে অস্থির হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। কারণ বাসে কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন