শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে তামিমের ডাবল সেঞ্চুরি

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে তামিমের ডাবল সেঞ্চুরি

Avatar

বুধবার, মার্চ ১৩, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

ফিরে দেখাঃ ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানো হয়ে গেছে। টেস্টের তৃতীয় বা চতুর্থ ইনিংসে কোনো ওপেনিং জুটি এতোদিন ৩০০ রান ছুঁতে পারেনি। ইমরুল কায়েসকে সাথে নিয়ে না ছুঁতে পারা গন্তব্য জয় করেছেন তামিম। গড়েছেন ৩১২ রানের মহাকাব্যিক জুটি। ১৫০ রানে ইমরুল বিদায় নিলেও টিকে ছিলেন তামিম। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। তামিমের ডাবল সেঞ্চুরিটি বাংলাদেশের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি।

২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। একই টেস্টে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। কিন্তু ১৯০ রানে থামতে হয় অ্যাশকে। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মুমিনুলও। তিনি করেছিলেন ১৮১ রান।

ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলেও ইনিংসের শুরুর আগে জগতটা বড় কঠিন মনে হয়েছিলো তামিমের কাছে। আপন ফুপুর মৃত্যু সংবাদের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছিলো তাকে। ব্যাটিং শেষ করে চট্টগ্রামে উড়েও যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে প্রিয়জনের মৃত্যুকে বড় করে দেখেননি তিনি। বুকের গভীরে প্রিয়জন হারানোর বেদনাকে কবর দিয়ে পাকিস্তানি বোলারদের শাসন করে গেছেন তিনি। এই ত্যাগের পুরস্কার হিসেবেই সৃষ্টিকর্তা যেনো ডাবল সেঞ্চুরি বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানকে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পরপর দুই সেঞ্চুরির পর একটি হাফ সেঞ্চুরি করে থেমেছিলেন তামিম। ওয়ানডের সেই ফর্ম এবার টেস্টেও দেখিয়ে দিলেন দেশের সেরা ওপেনার। সেঞ্চুরি করতে তামিম খেলেছিলেন ১২৩ বল। ছিলো ১১টি চার ও তিনটি ছয়। ডাবল সেঞ্চুরিতে ছুঁতে তামিমের লেগেছে মোট ২৬৪টি। চার মেরেছেন ১৭টি, ছয় সাতটি।

১৮২ রানে দাঁড়িয়ে ইয়াসির শাহকে পরপর দুই বলে বিশাল দুটি ছয় মারেন তামিম। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁতে তখন দরকার মাত্র ছয় রান। দুটি ছয় মেরে এক রান নিলেন দৌড়ে। দরকার আর পাঁচ রান। পরের ওভারে জুনায়েদ খানকে ছয় মেরে তামিম ছুঁয়ে দিলেন স্বপ্নের সীমানা- ২০১! একই সাথে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিককে। এতোদিন পর্যন্ত মুশফিকের ২০০ রান ছিলো বাংলাদেশে সেরা টেস্ট ইনিংস।

টেস্টে বাংলাদেশের ১৫০+ ইনিংসগুলো

ব্যাটসম্যান রান বল চার ছয় প্রতিপক্ষ ভেন্যু ও সাল
তামিম ইকবাল ২০৬ ২৭৮ ১৭ পাকিস্তান খুলনা, ২০১৫
মুশফিকুর রহিম ২০০ ৩২১ ২২ শ্রীলঙ্কা গল, ২০১৩
মোহাম্মদ আশরাফুল ১৯০ ৪৯৯ ২০ শ্রীলঙ্কা গল, ২০১৩
মুমিনুল হক ১৮১ ৩৭৭ ২৭ নিউজিল্যান্ড চট্টগ্রাম, ২০১৩
মোহাম্মদ আশরাফুল ১৫৮* ২৭৫ ২৪ ভারত চট্টগ্রাম, ২০০৪
তামিম ইকবাল ১৫১ ২৩১ ১৮ ভারত ঢাকা, ২০১০
ইমরুল কায়েস ১৫০ ২৪০ ১৬  পাকিস্তান খুলনা, ২০১৫

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন