শেষ ওভারে জয়ের জন্য মোহামেডানের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। অধিয়ানয়ক অভিজ্ঞ রবিকুল হাসান ক্রিজে ব্যাট করছেন ৭৪ রানে। বোলিংয়ে এসে ইরফান হোসেন প্রথম বল ওয়াইড দিলে পরের দুই বলে ছক্কা এবং চার হাঁকিয়ে চলতি মৌসুমে মোহামেডানের দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করেন রকিবুল হাসান। তাঁর ৮৮ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের উপর ভর করেই ৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় ঢাকা শীর্ষস্থানীয় ক্লাবটি।
এদিন ২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ এবং অভিষেক মিত্র মিলে ধীরগতিতে দলের পক্ষে সূচনা করেন। খেলাঘরের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে তেমন হাত খুলে খেলেন নি দুজন।
উদ্বোধনী জুটিতে দুজন ২০ ওভার ক্রিজে টিকে থাকলেও স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন মাত্র ৬৪ রান। ২০তম ওভারে বোলিংয়ে এসে দুই ওপেনারকেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান খেলাঘরের স্পিনার তানভির ইসলাম।
৬৮ রানে দুই উইকেট হারলেও উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর এবং অধিনায়ক রকিবুল হাসানের ব্যাটে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে থাকে মোহামেডান। ১৬ রান করে শুক্কুর দলীয় ১০০’র আগে বিদায় নিলে মোহাম্মদ আশরাফুলকেও দ্রুত ফিরিয়ে দেয় খেলাঘর।
১২২ রানে ৪ উইকেট হারালেও অধিনায়ক রকিবুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ নাদিফ চৌধুরী। তাঁদের জুটিতে ভর করে দলীয় ২০০’র পার করে মোহামেডান। রকিবুল তুলে নেন ফিফটি। ৪৭তম ওভারে নাদিফ ফিরে গেলেও ক্রিজে টিকে থাকেন রকিবুল।
দলীয় ২১৩ রানে সোহাগ গাজি ফিরলেও দলের পক্ষে একাই লড়াই চালিয়ে যান এই অধিনায়ক। শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন হলে প্রথম দুই বলে ছক্কা এবং চার হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন রকিবুল।
খেলাঘরের পক্ষে রবিউল এবং তানভির শিকার করে ২টি করে উইকেট। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে মোসাদ্দেক ইফতেখারের ৮৭ রানের উপর ভর করে ৪৭.৩ ওভারে ২২৫ রানে গুটিয়ে যায় খেলাঘর। সোহাগ গাজি ৪১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খেলাঘরঃ ২২৫ অল আউট (৪৭.৩ ওভার)(মোসাদ্দেক ৮৭) (সোহাগ গাজি ৩/৪১)
মোহামেডানঃ ২২৮/৬ (৪৯.২ ওভার) (রকিবুল ৮৪*) (তানভির ২/৪১)
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন