শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   ফিরে দেখাঃ তামিম ২৯ বলে ৪৭ ও ৩৫ বলে অপরাজিত ৭২

ফিরে দেখাঃ তামিম ২৯ বলে ৪৭ ও ৩৫ বলে অপরাজিত ৭২

Avatar

রবিবার, মার্চ ১০, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

২০১৮ সালের আজকের এই দিনে (১০ ফেব্রুয়ারি) নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ৫ উইকেটের জয়ের সাথে রেকর্ডবুকও নতুন করে লেখা হয়েছিল সেদিন।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শেদিন টস জিতে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং শেষে মনে হচ্ছিল যেন ভুল সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছিল। কারণ নির্ধারিত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করেছিল ২১৪ রান। এতো বড় লক্ষ্য তাড়া করে টি-টোয়েন্টিতে জয়ের রেকর্ড ছিল না টাইগারদের। কিন্তু সেদিন ঠিকই রেকর্ড গড়েছিলেন মুশফিক-তামিমরা।

দুই কুশলের (কুশল মেন্ডিস ও কুশল পেরেরা) তান্ডবে রানের পাহাড় গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিস করেন ৩০ বলে ৫৭ ও পেরেরা ৪৮ বলে ৭৪ রান। এছাড়া গুণাথিলাকার ২৬ ও থারাঙ্গার ঝড়ো ৩২ রানে বড় সংগ্রহ পায় তারা।

মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ ছাড়া বাংলাদেশের সব বোলারদের ইকোনমিক রেটই ছিল দশের অধিক। মুস্তাফিজ পেয়েছিলেন ৩ উইকেট। তবে ৪ ওভারে খরচ করেছিলেন ৪৮ রান। রিয়াদ ২ ওভারে ১৫ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট।

তামিম-লিটনের কল্যাণে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। তাদের গড়া ওপেনিংয়ের সেই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙেনি।

তামিম ২৯ বলে ৪৭ ও লিটন করেছিলেন ১৯ বলে ৪৩। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও ম্যাচে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৫টি ছয়ের মার আসে লিটনের ব্যাট থেকে। লিটন-তামিম সাজঘরে ফেরার পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মুশফিকুর রহিম।

৩৫ বলে অপরাজিত ৭২ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মুশফিক। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো ছিল তার ম্যাচজয়ী ইনিংসটি। তাকে সঙ্গ দেন সৌম্য ও রিয়াদ। তারা দুইজন যথাক্রমে ২২ বলে ২৪ ও ১১ বলে ২০ রান করেন। তবে শূন্য রানেই রান আউট হয়ে ফিরেছিলেন সাব্বির রহমান।

সৌম্য, রিয়াদরা সাজঘরে ফিরে গেলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মুশফিক। নির্ধারিত ওভারের দুই বল বাকি থাকতেই জয় পাই টাইগাররা। রানা তাড়া করে জেতায় ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেও এটাই সর্বোচ্চ রান।

সেই ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ২১৪/৬ ( কুশল পেরেরা ৭৪, কুশল মেন্ডিস ৫৭, উপল থারাঙ্গা ৩২, গুণাথিলাকা ২৬; মুস্তাফিজ ৩/৪৮, মাহমুদউল্লাহ ২/১৫, তাসকিন ১/৪০)।

বাংলাদেশ: ২১৫/৫ (মুশফিক ৭২*, তামিম ৪৭, লিটন ৪৩, সৌম্য ২৪, মাহমুদউল্লাহ ২০; নুয়ান প্রদীপ ২/৩৭)

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন