শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   এপ্রিলে আইসিসির কাছে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে যে ১৫ সদস্যের লিস্ট পাঠাবে নির্বাচক নান্নু

এপ্রিলে আইসিসির কাছে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে যে ১৫ সদস্যের লিস্ট পাঠাবে নির্বাচক নান্নু

Avatar

বুধবার, মার্চ ৬, ২০১৯

প্রিন্ট করুন
ফাইল ছবি

বিশ্বকাপ যেন কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে। আর সেই সময়টাও বেশিদিন না। মাত্র আড়াইমাস পরেই শুরু হতে যাচ্ছে সেই আসর। তার সেই আসরের প্রাথমিক দল ঘোষণা হতে যাচ্ছে আর কিছুদিন পরেই। আর সেই দলেই রাখা হয়েছে তাসকিনকে। এমনকি সুযোগ পেতে পারেন আশরাফুলও।

প্রাথমিক দল নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন সাংবাদিকদের বললেন, ‘লজিস্টিকের কিছু বিষয় আছে। সে কারণেই প্রাথমিক দলটা করে দিয়েছি। খেলোয়াড়েরাও মানসিকভাবে যেন তৈরি হয়, সেটিও একটা কারণ। বিশ্বকাপের আগে আমাদের প্রোগ্রাম সব ঠিক হয়ে আছে।

সেটির একটা হচ্ছে এই প্রাথমিক দল ঘোষণা। আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে চূড়ান্ত দল দিয়ে দেব। ২১-২২ এপ্রিলের দিকে আয়ারল্যান্ড চলে যাবে দল। সেখানে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। আয়ারল্যান্ড থেকে যাবে বিশ্বকাপে।’

ভাবছি ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একাদশটা কেমন হতে পারে। পঞ্চপান্ডব যদি সুস্থ থাকে, তাহলে তারা তো অটোচয়েস। এছাড়া ষষ্ঠ হিসেবে মুস্তাফিজও পার্মানেন্ট। সপ্তম হিসেবে মিরাজ। বাকি থাকে চারজন। বাকি চারটি পজিশনের জন্য অনেককেই কম্পিটিশন করা লাগবে। স্বাভাবিক অগ্রাধিকার বেশি থাকবে জাতীয় দলে নিয়মিত খেলা ক্রিকেটাররাই। এরপর ফিল্টারিং হবে কারা ধারাবাহিকভাবে খেলছে তার ওপর ভিত্তি করে।

সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজে ইমরুল কায়েসের ধারাবাহিকতা, এছাড়া লিটনের সেমি-ধারাবাহিকতা, সৌম্যর ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ধারাবাহিকতা, সাইফের ধারাবাহিক বোলিং-সেই বিপদের সময় ব্যাটিং – সব মিলিয়ে এইরকম অবস্থা যদি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে একাদশ তৈরি করাটা মধুর সমস্যা হয়ে যাবে। (যেই সমস্যাটায় সবদলই পড়তে চায়, কিন্তু সেই সৌভাগ্যটা হয় শুধু অল্প কয়টা দলেরই।)

যাই হোক, আমিও বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলের সবার পারফম্যান্স এমন থাকবে ভেবেই একাদশ কেমন হবে ভাবলাম। ১৫জনের স্কোয়াডটাই বা কেমন হতে পারে তাও ভাবলাম। অবশ্যই মধুর সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তারপরও একটা খসড়া একাদশ বানালাম। ব্যাটিং অর্ডারের ওপর ভিত্তি করে একাদশটা এরকম অনেকটাঃ

১। তামিম (অটোচয়েস) (বিকল্প নট ফাউন্ড)

২। সৌম্য অথবা সাব্বির ৩। ইমরুল অথবা আশরাফুল
[লিটন, ইমরুল,আশরাফুল অটোচয়েস না – তবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে গেলে তারাই সেরা অপশন। অনেকেই সৌম্যকে রাখতে চাইবেন – তবে লেফট-রাইট কম্বিনেশনটা বেশি ইফেক্টিভ। তাছাড়া টপ অর্ডারে প্রথম তিনজন বামহাতি রাখাটাও কেমন যেন। আর সৌম্যের বড়ো কম্পিটিটর ইমরুল কায়েসের জাতীয় দলে অভিজ্ঞতাও বেশি। সেজন্যেই সৌম্য ভালো খেলে গেলে সে শুধু লিটন-ইমরুলের বিকল্পই। যেহেতু বিশ্বকাপটা এবার বেশ লম্বা, অনেকগুলো ম্যাচ – তাই টপের তিনজনের কারো পরিবর্তে সৌম্য সুযোগ পাবে। সৌম্যকে ঐ সুযোগেই যা ভালো খেলার খেলে মূল একাদশের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।]

৪। মুশফিক (অটোচয়েস) (বিকল্প নট ফাউন্ড) ৫। সাকিব (অটোচয়েস) (বিকল্প নট ফাউন্ড)

৬। মাহমুদুল্লাহ্‌ (অটোচয়েস) (বিকল্প নট ফাউন্ড)
[এই তিনজনের আসলেই কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু লম্বা টুর্নামেন্ট, তাই বিশ্রামে গেলে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ্‌র পরিবর্তে মিঠুন সুযোগ পেতে পারে। আর সাকিবের বিশ্রামে মিঠুন ব্যাটিং-এ এবং বোলিং-এ স্পিন ডিপার্টমেন্টে নাজমুল খেলতে পারে। সত্যি বলতে, সাকিব বিশ্রামে গেলে পুরো একাদশের চেহারাই পালটে যাবে। সাকিবকে অনেকেই তিনে চায়, তবে যেহেতু শুধু ব্যাটিং দায়িত্বে থাকা টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ফর্মে আছে, তাই সাকিব পাঁচেই ভালো। টিম কম্বিনেশন অনুযায়ী তাকে এখানে রাখা উচিৎ।]

৭। মিরাজ (সেমি-অটো)
[১৫ জনের স্কোয়াড হলে তার বিকল্প আমি দেখি না। তারপরও তাকে বিশ্রাম দিলে নাজমুলের ঢোকার সম্ভাবনাই বেশি। তবে যেহেতু ইংল্যান্ডে খেলা, একাদশে দুই বাঁহাতি স্পিনার ঠিক মানানসই হবে না। তারপরও এটাই সেরা বিকল্প।]

৮। সাইফ
[সাইফ দলে নবাগত খেলোয়ারই। তার দলে থাকার প্রধান কারণ হতে পারে ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে একটা পেসার বেশি পাওয়া এবং সাথে বোনাস হিসেবে ব্যাটিংটা। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে সে দলের একটা অ্যাসেট বলা যায়। তবে পিচ কন্ডিশন বুঝে তার পরিবর্তে নাজমুলের খেলার সুযোগই বেশি।]

৯। মাশরাফি (অটোচয়েস, অধিনায়ক, বিকল্প নাই)
[বিশ্রামে গেলে ওপরে উল্লেখিত তিনজনের যে কেউ খেলতে পারে। এছাড়া থাকতে পারে আবু হায়দার রনি। ওর বোলিং বেশ ভালো। অথবা ১৫ জনের স্কোয়াডে রনির পরিবর্তে তাসকিনও থাকতে পারে। তখন তাসকিন খেলতে পারে।]

১০। মুস্তাফিজ (অটোচয়েস)
১১। রুবেল (সেমি-অটো)
[ওপরের দুইজনের সত্যি বলতে বিকল্প নেই। তবে রুবেলকে ভ্যারিবেল হিসেবে চ্যাঞ্জ করতে পারে। আর মুস্তাফিজ গ্যারান্টেড বিশ্রামের জন্য এক-দুই ম্যাচ মিস করবে। তখন বিকল্প রনি। বাঁহাতি বোলার। আমি স্কোয়াডে তাসকিনের বদলে রনিকে এজন্যই বেশি প্রেফার করবো। এছাড়া সাইফ যদি ব্যাটিং-ভালো হয়, তাহলে ওকে একাদশে রেখে এখানে স্পিনার নাজমুলের ঢোকার সম্ভাবনাও আছে।]

এই তো দল হয়ে গেলো। একাদশ তো মোটামুটি এটাই সেরা। সেই সাথে স্কোয়াডের বাকি চারজন হচ্ছে সৌম্য, মিঠুন, নাজমুল, রনি/তাসকিন।

বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা উচিৎ না, তাই দলের সাথে নিয়মিতদেরই স্কোয়াডে রাখা ভালো। এরপরও আমাদের বোর্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেই, তাদের কাজই তো বড়ো টুর্নামেন্টে এক্সপেরিমেন্ট করা। সেইক্ষেত্রে শান্ত, সোহান, সাব্বির, নাসির, তাইজুল, ইভেন ডাবল ডাক ফজলে রাব্বিও থাকতে পারে। আবার রশিদ খানের বোলিং-এ মুগ্ধ হয়ে লেগি হিসেবে রাডারের বাইরে থাকা জুবায়ের, তানভীরও ডাক পেয়ে যাতে পারে।
লেখা: রাফায়েত রহমান রাতুল

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন