বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের আরও একটি টেস্ট হার, আর আবারও পরাজয় থেকে ‘শিক্ষা’ খুঁজে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা। সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ মূলত দাঁড়াতে পারেনি কিউই পেসারদের কারণে।
হোম অ্যাডভান্টেজ আর পেস বান্ধব উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নাকাল বানিয়েছেন বেশ দক্ষতার সাথেই। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মনে করেন, এই টেস্টে ভুগতে হলেও কিউই পেসারদের সম্পর্কে যে ধারণা হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তা কাজে লাগবে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে।
প্রসঙ্গত, ওয়েলিংটনে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।বাংলাদেশের পেসাররা যেমনি এমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত নন, একইভাবে ব্যাটসম্যানরাও অভ্যস্ত নন এমন পেস বান্ধব উইকেটে পেস বোলিং সামলানোতে। রিয়াদ জানান, হ্যামিল্টন টেস্টে কিউই পেসাররা যেভাবে বোলিং করেছেন এটা তাদের স্বাভাবিক তথা সাধারণ প্রক্রিয়া।
রিয়াদ বলেন, ‘ওরা বাউন্সগুলো ট্রাই করছিল। আবার যদি আপনি সাউদি ও বোল্টের কথা চিন্তা করেন ওরা নতুন বলে সুইং করানোর চেষ্টা করছিল। এটাই আসলে ওদের সাধারণ প্রক্রিয়া। আর বলটা একটু পুরোনো হয়ে গেলে ওরা শর্ট মারা চেষ্টা করে।’
আর এজন্য রিয়াদের প্রত্যাশা, এই টেস্টে বোলারদের মোকাবেলা করে যে ধারণা হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সেটি মাথায় রেখে ভালো করা যাবে ওয়েলিংটনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে।
তিনি বলেন, ‘হোপফুলি এটা আমাদের ব্যাটসম্যানদের একটা আইডিয়া হয়ে গেছে। সেকেন্ড টেস্টে যেনো আমরা এগুলো চিন্তা করে ব্যাটিং করতে পারি।’
তৃতীয় দিন শেষেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল বাংলাদেশের পরাজয়। অপেক্ষা ছিল দেখবার- কত দূর পর্যন্ত ম্যাচকে গড়ানো যায়। সেই চেষ্টায় কিছুটা হলেও সফল রিয়াদ বলেন, ‘কাল শেষ ঘণ্টায় ব্যাটিং করার সময় চিন্তা করছিলাম সহজেই যেন উইকেটটা না দেই। কেননা ওই সময়টুকু সার্ভাইভ করতে পারলে অন্তত কালকে ভালো খেলতে পারবো। আমার মনে হয় ওরাও ডিফারেন্ট ফেজে ভালো বোলিং করেছে।’
বাংলাদেশ একাদশঃ তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী ও সাদমান ইসলাম, এবাদত হোসেন।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন