দলের ঠিক প্রয়োজনের সময় ফর্মে ফিরলেন সৌম্য সরকার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকেই। দুই জনের রেকর্ড পার্টনারশিপও হলো আজ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে।রেকর্ড পার্টনারশিপের ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন উভয় ব্যাটসম্যান।
তৃতীয় দিন শেষে সৌম্য সরকার ৩৯ রানে এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ছিলেন ১৫ রানে। দ্রুত চার উইকেট প্রতিপক্ষের বড় লিডের চাপে ছিল দল। সৌম্য ও রিয়াদ চাপ ছাড়ায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট পড়তে দেননি তারা। নির্বিঘ্নে ১৩৬ রান তোলে প্রথম সেশনে। যার মধ্যে সৌম্য তুলে নেন নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। রিয়াদ তুলে হাফ সেঞ্চুরি। তবে তিনিও সেটাকে পরে শতকে রূপান্তর করেছেন।
ট্রেন্ট বোল্টের বলে সৌম্য বোল্ড হওয়ার আগে ২৩৫ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছেন মাহমুদউল্লাহের সাথে। যার মধ্যে সৌম্য সরকারের অবদান ১৪৩ রান। রিয়াদের অবদান ৯০ রান। দুইজনই মাঠের চারপাশে বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন।
পঞ্চম উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি এখন সৌম্য-রিয়াদ। যেকোনো উইকেটে তাদের এই ২৩৫ রান ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রেকর্ড জুটি। পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তিনটি জুটিই দেশের বাইরে। যার মধ্যে দুইটিই আবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ ৩৫৯ রান। সেটাও এই নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই। ২০১৬-১৭ সালে কিউই সফরে এই রেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তাদের জুটিটিও ছিল পঞ্চম উইকেটে।
বাংলাদেশের পক্ষে পঞ্চম উইকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২৬৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।
টেস্টে যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড-
১. সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিম: ৩৫৯ রান (পঞ্চম উইকেট)।
২. তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েস: ৩১২ রান (প্রথম উইকেট)।
৩. মোহাম্মদ আশরাফুল-মুশফিকুর রহিম: ২৬৭ রান (পঞ্চম উইকেট)।
৪. মমিনুল হক-মুশফিকুর রহিম: ২৬৬ রান (চতুর্থ উইকেট)।
৫. মমিনুল হক-মুশফিকুর রহিম: ২৩৬ রান (তৃতীয় উইকেট)।
৬. সৌম্য সরকার-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: ২৩৫ রান (পঞ্চম উইকেট)।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন