হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতজম টেস্টে আজ ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। এর ফলে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯টি সেঞ্চুরি এখন তার নামের পাশে। দেশের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২১টি সেঞ্চুরিও তার।
কিউইদের বিপক্ষে প্রথম দিনেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণের বিপক্ষেও দারুণ খেলেছেন তামিম। ৩৭ বলে অর্ধশতক তোলার পরে ১২৮ বলে ১২৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ২১টি চার ও একটি ছক্কার মার।
ডানেডিনে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তামিমের। সেই ম্যাচ খেলতে নেমে দুই ইনিংসেই অর্ধশতক করে নিজের জাতটা ভালোভাবেই চিনেয়েছিলেন। অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫৩ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৪ রান করেছিলেন তিনি।
স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে একাই লড়াই করেছেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানেরা যেখানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সেখানে একপ্রান্ত আগলে রেখে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম শতক।
আর এরই সাথে ২০০০ সালের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বোচ্চ শতক হাঁকানো তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নাম লিখিয়েছেন তামিম। এখন পর্যন্ত এই তিন দেশে সর্বমোট ৩টি শতক হাঁকিয়েছেন টাইগার এই ওপেনার।
তামিমের আগে ২০০০ সালের পর থেকে এই তিন দেশে তিনটি শতকের মালিক ছিলেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান মারভান আতাপাত্তু এবং ভারতের বীরেন্দ্র শেহবাগ। তবে একদিক থেকে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন টাইগার ওপেনার।
সবথেকে কম ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনটি শতক হাঁকিয়েছেন তামিম। তিনটি শতকের জন্য মাত্র ১৯টি ইনিংস খেলেছেন তিনি। অপরদিকে আতাপাত্তু ২৭টি এবং শেহবাগকে খেলতে হয়েছিলো ৪৯টি ইনিংস।
এই শতকের মাধ্যমে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ শতকে রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন তামিম। বর্তমানে টেস্টে তাঁর শতকের সংখ্যা মোট ৯টি। টাইগার ওপেনারের আগে এই রেকর্ডটি ছিলো মমিনুল হকের। মোট ৮টি টেস্ট শতকের মালিক তিনি।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন