শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   দলের বিপর্যয়ে তামিমের দূর্দান্ত রেকর্ড

দলের বিপর্যয়ে তামিমের দূর্দান্ত রেকর্ড

Avatar

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতজম টেস্টে আজ ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। এর ফলে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯টি সেঞ্চুরি এখন তার নামের পাশে। দেশের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২১টি সেঞ্চুরিও তার।

কিউইদের বিপক্ষে প্রথম দিনেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণের বিপক্ষেও দারুণ খেলেছেন তামিম। ৩৭ বলে অর্ধশতক তোলার পরে ১২৮ বলে ১২৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ২১টি চার ও একটি ছক্কার মার।

ডানেডিনে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তামিমের। সেই ম্যাচ খেলতে নেমে দুই ইনিংসেই অর্ধশতক করে নিজের জাতটা ভালোভাবেই চিনেয়েছিলেন। অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫৩ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৪ রান করেছিলেন তিনি।

প্রায় এক দশক পর আবার সেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একটি চমৎকার ইনিংস খেললেন তামিম। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম শতক হাঁকিয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯টি সেঞ্চুরির মালিক হলেন তিনি। প্রায় দুই বছর পর সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন তামিম। এতদিন ৮টি সেঞ্চুরি নিয়ে মুমিনুলের সাথে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন তিনি।

এছাড়া তিন ফরম্যাট মিলিয়েও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ টি সেঞ্চুরি এই ড্যাশিং ওপেনারের। যেখানে টেস্টে ৯ টি, ওয়ানডেতে ১১ টি ও টি-টোয়েন্টিতে ১ টি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।

তামিম ইকবাল প্রথম সেঞ্চুরি করেন ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাঁর সেই ইনিংসটি ছিল ১২৮ রানের। এর পর ২০১০ সালে ভারত বিপক্ষে ১৫১, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে রেকর্ড গড়া ১০৩ ও ১০৮ রান করেন। তারপর অনেকদিন টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। অবশেষে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ১০৯ করে দুইটি সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম।

পরের বছরই ২০১৫ সালে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে দ্বিশতক করেন (২০৬)। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। টেস্ট ক্রিকেটে ১০৯ ইনিংসে তামিমের সংগ্রহ ৪১৭৫ রান। যা বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ টেস্ট রান।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন