ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে পেসার মোহাম্মদ আজিমকে দলে নিয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গত মৌসুমেও মোহামেডানে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু এইবার ড্রাফট থেকে দলে নিয়েও আবার বাদ দিয়েছে তাঁকে। তাঁর বলদে শাহাদাত হোসেন রাজীবকে।
গত বছর মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে অন্যতম একজন পারফর্মার ছিলেন তিনি। ৬টি ম্যাচ খেলে ১৩.০০ গড়ে নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। কিন্তু এই ডানহাতি পেসারকে এবার দলে নিয়েও লিগ শুরুর আগেই আবার তাকে ছেড়ে দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। যদিও নিয়ম অনুযায়ী কোন ক্রিকেটারকে ড্রাফট থেকে দলে নিয়ে বাদ দিতে পারে না ক্লাব। অন্য ক্লাবের সঙ্গে অদল-বদল করতে।
আগের বারের ভালো পারফরম্যান্সের উপহারস্বরূপ এবার ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। এবার আজিমের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। ওই পারিশ্রমিকেই ড্রাফট থেকে তাকে নিয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু লিগ শুরুর আগেই হঠাৎ তাকে অনুশীলনে আসতে মানা করে দেয়া হয়েছে ক্লাব থেকে। তাকে অন্য ক্লাব খুঁজতে বলে দিয়েছে মোহামেডান।
গতকাল (সোমবার) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের টি-টোয়েন্টি আসর শুরু হয়েছে। আর শুরুর দিনেই এমন দুঃসংবাদ পেয়েছেন তিনি। গতকাল গণমাধ্যমের কাছে আজিম বলেন,
“গতকাল রাতে ওয়াসিম ভাই (ম্যানেজার ওয়াসিম খান) ফোন দিয়ে বলে, মাহবুব ভাই (মাহবুব আনাম) বলেছে, তুমি অন্য দল দেখো। আমি বলেছি, আমি এখন অন্য দল কীভাবে দেখব। এমন তো না যে আমি রিকয়েস্টেড প্লেয়ার। আপনারা আমাকে না ডাকলে আমাকে অন্য দল ডাকতে পারত। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি অনুশীলনে আসব কিনা, উনারা বলে, তোমার অনুশীলনে আসার দরকার নাই।”
হঠাৎ করে দল হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন আজিম। এই মুহূর্তে আবার নতুন দল পাওয়াও সহজ নয় যেহেতু সব ক্লাবগুলোই নিজেদের দল গুছিয়ে ফেলেছে। আজিম আরো বলেন, “আমাকে ড্রাফট থেকে নেয়ার পর যদি বলে দল দেখতে, এটা কেমন কথা। এখন আমি হুট করে নতুন দল কোথায় পাব। আর আমি তো গত বছর পারফর্ম করা খেলোয়াড়। আমার বদলে আজ দেখলাম রাজিব ভাই (শাহাদাত হোসেন) এসেছে। উনাকে ড্রাফট থেকে ডেকে নেয়নি মোহামেডান।”
আজিমকে অন্য ক্লাব দেখার কথা স্বীকার করে মোহামেডান ম্যানেজার ওয়াসিম খান জানান, “হ্যাঁ আমরা ওকে বলেছি ক্লাব খুঁজতে, আমরাও দেখছি। যদি কোন ক্লাব থাকে কম টাকাতেও নেয় আমরা বাকি টাকা দিয়ে দেব। আর যদি না নেয় তাহলে তো তাকে দলে রাখতেই হবে।”
এটি নিয়ে সিডিএম প্রধান কাজি এনাম বলেন, আমি এটা পত্রিকাতে দেখেছি। কিন্তু এটার কোন সুযোগ নেই। যদি কোন দল এমন করে তাহলে তাদের শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখে সিডিএম।
তিনি বলেন, ড্রাফট থেকে বা ড্রাফটের বাইরে থেকে কোন খেলোয়ার রেজিষ্টার করার পর সেই খেলোয়ারের দায়িত্ব সেই ক্লাবের। যদি প্লেয়ারের পেমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন আসে তাহলে বিসিবি ও সিডিএম সেই দলকে শাস্তি দেয়ার অধিকার রাখে।
তিনি আরো বলেন, ড্রাফট থেকে নেয়া কোন খেলোয়ারকে যদি খেলাতে না চায় বা রাখতে না চায় তাহলে সেই ক্লাবের চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিতে হবে। যদি না দেয় তাহলে পয়েন্ট কাটাসহ সেই দলকে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে সিডিএম।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন