চলমান ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আজ তারা ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছে ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে। এ পরাজয়ের ফলে আসর থেকে ছিটকে গেল ব্রাদার্স।১৭০ রানের লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দলীয় ৯ রানে হারায় ওপেনার মিজানুর রহমানকে। ৭ রান করে তার ফিরে যাওয়ার পর ব্যক্তিগত ১৪ রানে আউট হয়ে যান জুনায়েদ সিদ্দিকও।
পাওয়ার প্লে চলাকালীন ৩৭ রানে দুই উইকেট হারানো ব্রদার্সকে এরপর একাই টেনে নেন ফজলে মাহমুদ। তবে জয়ের জন্য যা করণীয় ছিল তা করার আগেই সাজঘরে ফিরেন তিনি। দুই ওপেনারের পর মনির হোসেনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হলে ৭০ রানে তিন উইকেট হারায় দলট।
এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা বলার মতো কিছু না করতে পারলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ব্রাদার্স। আব্দুর রাজ্জাক, আল-আমিনদের বোলিং তোপে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২২ রানে থামে দলটির ইনিংস। এর ফলে ৪৭ রানের জয়ে মাঠ ছাড়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে ২৪ রান খরচায় মনির তিনটি, রাজ্জাক দুটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তের পর শুরুটা প্রত্যাশামত হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। দলীয় ১০ রানে অধিনায়ক এনামুক হক বিজয়ের উইকেট হারায় দলটি। সুবিধা করতে না পারা বিজয় ফিরেন ৯ বলে ৬ রান করে।
এরপর ক্রিজে এসে ব্যর্থ হন জাকির হাসান ও আল আমিন। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউটের আগে করেন ৮ বলে ৯ রান। আর আল-আমিন সাজঘরের পথ ধরেন ব্যক্তিগত ২ রানে। যার ফলে দল ৪০ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
দলের এমন অবস্থায় হাল ধরে ৩৫ রানের জুটি গড়েন রুবেল ও আরিফুল হক। ৪৩ বলের ৪৪ রানের ইনিংস খেলে শাহজাদার বলে রুবেল আউট হলে বিচ্ছিন্ন হয় দুজনার মধ্যকার জুটি।
এরপর ক্রিজে আরিফুলের সাথে যোগ দেন নাজমুল হোসেন মিলন। শেষ দিকে তাণ্ডব চালিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন তারা।
বিপিএলে ছিলেন ছায়া হয়ে। তাই ডিপিএল টি-টোয়েন্টি পেয়ে যেন নিজেকে মেলে ধরলেন আরিফুল হক। তুলে নেন ঝড়ো গতির অর্ধশতক। মাত্র ২৯ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। তার সাথে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ২১ বলে ৪৫ রানের বিদ্ধংসী ইনিংস খেলেন। ৪ ছক্কার পাশাপাশি ১ চারে সাজান তার ইনিংসটি।
আর ৪ চার ও ২ ছক্কায় আরিফুল অপরাজিত থাকেন ৩৩ বলের ৫৯ রানের ইনিংসে। এতে করে দল পুঁজি পায় ৪ উইকেট ১৬৯ রানের।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের বোলারদের মধ্যে বোলিং কোটার ৪ ওভার থেকে ২৩ রান খরচায় শরিফুল্লাহ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট লাভ করেন। তাছাড়া মোহাম্মদ শাহজাদা ও মেহেদি হাসান প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড- প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪ উইকেটে ১৬৯ রান (২০ ওভার)।আরিফুল ৫৯*(৩৩), নাজমুল ৪৫*(২১), রুবেল ৪৪(৪৩); শরিফুল্লাহ ৪-০-২৩-২।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৮ উইকেটে ১২২ রান (২০ ওভার)। ফজনে ৩৯(৩২), ; মনির ৪-০-২৪-৩; রাজ্জাক ৪-০-১০-২।
ফলাফল: প্রাইম ব্যাংক ৪৭ রানে বিজয়ী।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন