সমাপ্তির পথে ২০১৮ সাল। এ বছরের টি-২০ ক্রিকেটে অনেকেই ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। তাদের মধ্যে ১১ জন নিয়েই সাজানো হয়েছে ২০১৮ সালের বর্ষসেরা টি-২০ একাদশ। একাদশের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে।অস্ট্রেলিয়ার চারজন, ব্ভাংলাদেশের তিনজন ভারতের দুইজন এবং নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের একজন করে খেলোয়াড় রয়েছে একাদশে।
২০১৮ সালের বর্ষসেরা টি-২০ একাদশ :
শিখর ধাওয়ান (ভারত) ম্যাচ : ১৮, রান : ৬৮৯, গড়: ৪০.৫২।
২০১৮ সালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ৬৮৯ রান করে এক বছরে আন্তর্জাতিক টি-২০ তে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৭.২২। ২০১৮ সালে ছয়টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি।
অ্যারন ফিঞ্চ (অস্ট্রেলিয়া) ম্যাচ : ১৭, রান : ৫৩১, গড়: ৪০.৮৪।
২০১৮ সালের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অ্যারন ফিঞ্চ। পুরো বচহ্রজুড়তে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন তিনি। তার স্ট্রাইক রেটটাও দুর্দান্ত, ১৭৬.৪১। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭২ রানের ইনিংস খেলে তাক লাগিয়ে দেন অ্যারন ফিঞ্চ। ভাঙেন নিজের ১৫৬ রানের রেকর্ড। ২০১৮ সালে তার রয়েছে দুইটি অর্ধশতক ও একটি শতক।
কলিন মানরো (নিউজিল্যান্ড) ম্যাচ : ১২, রান : ৫০০, গড় : ৪৫.৪৫
১৭৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটই বলে দেয় ২০১৮ সালে কতটা বিধ্বংসী ছিলেন নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কলিন মানরো। এ বছর চারটি অর্ধশতক ও একটি শতক হাঁকান তিনি। ২০১৮ সালের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০ শতকটা আসে তার ব্যাট থেকেই। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২০১৮ সালে টি-২০ তে সর্বোচ্চ রানও মানরোর।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)ম্যাচ : ১৯, রান : ৫০৬, গড় : ৩৬.১৪। উইকেট : ৯, ইকোনমি : ৭.৫৮।
২০১৮ সালে অলরাউন্ডিং নৈপুন্য দেখিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ব্যাট হাতে দুইটি অর্ধশতক ও একটি শতক হাঁকিয়েছেন তিনি। বোলিংয়ে ১৪.৩৩ গড়ে শিকার করেছেন ৯ উইকেট। বছর শেষে তিনি র্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডার।
মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ) (উইকেটরক্ষক) ম্যাচ : ১৬, রান : ৩৯৭, গড় : ৩০.৫৩। ক্যাচ : ৮, স্টাম্পিং : ৪।
তিন ফরম্যাটেই বছরজুড়ে দারুণ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। টি-২০ তে এ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ডিসমিসাল মুশফিকুর রহিমের। ব্যাত হাতে ১৩২.৩৩ স্ট্রাইক রেট তার। ২০১৮ সালে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনটি। নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার অপরাজিত ৩৫ বলে ৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করেই ২১৫ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) (অধিনায়ক) ম্যাচ : ১১, রান : ২৪৮, গড় : ২৪.৮০ উইকেট : ১৫, ইকোনমি : ৬.৬৫।
আজমল-গুলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় সেরা সাকিব
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে গ্লেন মযাক্সওয়েলের পরেই অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। এ বছর চোটের কারণে নিদাহাস ট্রফির তিনটি ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব। বাংলাদেশের সেরা টি-২০ পারফর্মার তাকে বলা যেতেই পারে। এ বছর দুইবার হয়েছেন সিরিজসের। ব্যাট হাতে ২৪৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১৭.৭৩ গড়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। দুইটি অর্ধশতকের পাশাপাশি বল হাতে রয়েছে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ) ম্যাচ : ১৬, রান : ৪১৪, গড় : ৩৪.৫০। উইকেট : ৯, ইকোনমি : ৭.৩০।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের প্রয়োজনে নানান সময়ে হাল ধরেছেন তিনি। কখনো ব্যাট হাতে খেলেছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। বল হাতেও দলকে এনে দিয়েছেন দরকারী উইকেট। বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন নয় নম্বরে।
রশিদ খান (আফগানিস্তান/আইসিসি) ম্যাচ : ৮, উইকেট : ২২, ইকোনমি : ৬.৩৬।
বল হাতে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন লেগ স্পিনার রশিদ খান। ২২ উইকেট শিকার করা রশিদের বোলিং গড় অবাক করে দেওয়ার মত। প্রতি উইকেটের জন্য গড়ে মাত্র ৮.৬৮ রান দিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের পাশাপাশি রশিদ খান খেলেছেন আইসিসি বিশ্ব একাদশের হয়েও।
অ্যান্ড্রু টাই (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচ : ১৯, উইকেট : ৩১, ইকোনমি : ৮.৫৬।
কিছুটা খ্রুচে বোলিং করলেও অস্ট্রেলিয়ার পেসার অ্যান্ড্রু টাই এ বছর শিকার করেছেন ৩১ উইকেট। ২০১৮ সালের সর্বোচ্চ উইকেত শিয়াক্রী তিনি। টি-২০ তে এক বছরে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডটাও নিজের দখলে নিয়ে এসেছেন টাই। .
বিলি স্ট্যানলেক (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচ : ১৬, উইকেট : ২৫, ইকোনমি : ৭.৭৯।
টাইয়ের সতীর্থ বিলি স্ট্যানলেকও কাটিয়েছেন দারুণ বছর। ২৫ উইকেট শিকার করা বিলি বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তার এ সেরা বোলিং ফিগার।
কুলদীপ যাদব (ভারত)
ম্যাচ : ৯, উইকেট : ২১, ইকোনমি : ৫.৯৭।
ভারতের চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব ছিলেন ব্যাটসম্যানদের কাছে দুর্বোধ্য। ৯ ম্যাচ খেলেই ২১ উইকেট শিকার করেন তিনি। তার ইকোনমি ছয়ের নিচে আর বোলিং গড় দশের নিচে। এ বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাটিতে ৫ উইকেট শিকারের কীর্তিও গড়েছেন তিনি।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন