ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র একজন পেসার নিয়ে মাঠে নামাটা দুঃসাহস বলে সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত চার স্পিনারের দাপুটে বোলিংয়ে ৬৪ রানের জয়ে ম্যাচটি নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের একমাত্র পেসার মুস্তাফিজুর রহমান দুই ইনিংসে মাত্র চার ওভার করেন। ঢাকায় ফিরেতো সবাইকে অবাক করে কোনও পেসার ছাড়াই একাদশ সাজানো হলো। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটিতে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বিশাল হারের লজ্জা পেতে হয় ক্যারিবীয়দের।
দুই ম্যাচের সফরকারীদের মোট ৪০ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগারদের স্পিনাররা। যা দুই ম্যাচ সিরিজের ইতিহাসে সেটি টেস্টের ইতিহাসে এবারই প্রথম। সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলামের বাম-হাতের ঘূর্ণি। মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসানের ডান হাতের জাদুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা দুই ম্যাচেই নাস্তানাবুদ হয়েছেন। বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন।
২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ম্যাচের সিরিজে টাইগার স্পিনাররা তুলে নেন ৩৮টি উইকেট। সেই রেকর্ডটি এতদিন বাংলাদেশেরই ছিল। অর্থাৎ নিজেদের রেকর্ডই ভাঙলো সাকিবের দল।
দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের মোট ৪০টি উইকেটই হারিয়েছে বাংলাদেশের স্পিনারদের কাছে। তাদের দাঁড়াতেই দেননি সাকিব-মিরাজ-তাইজুলরা। রবিবার মিরপুর ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের স্পিনারদের প্রশংসা করেছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। তিনি বলেছেন, অন্য দল এখানে আসলে বুঝতে পারবে বাংলাদেশের স্পিন কেমন।
সংবাদ সম্মেলনে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বলেছেন, ‘বিষয়টি খুব হতাশার। আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা ডুবিয়েছে। কিছু শট মোটেও ভালো ছিল না। ভারত সিরিজে আমি ভালো করতে পারিনি। সুতরাং, এখানে আমি ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। আমি শক্ত থেকে চেষ্টা করব সামনের সিরিজে ব্যাটিংয়ে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার।’
তিনি বলেন, ‘আমি উইকেটের দোষ দিতে পারি না। কিছু শট সিলেকশন একেবারেই ভালো ছিল না। বিশেষ করে গতকাল (শনিবার) বিকালে। কন্ডিশন একটা বড় ফ্যাক্টর। ঘরের মাটিতে আমরা ভালো খেলেছি। তারা পেসের বিপক্ষে সংগ্রাম করেছিল। আমাদের স্পিনের বিপক্ষে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
ছবিঃ তাইজুল ইসলাম
ব্র্যাথওয়েট বলেন, ‘সত্য কথা বলতে স্পিন স্পিনই। আমি মনে করি, পিচ কিছুটা শুখনা ছিল। আমরা সঠিক সময়ে সঠিক শট খেলতে পারিনি। টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে মানসিক খেলা। আমি সোজা বলে লাইনের বাইরে গিয়ে খেলেছি। ব্যাটিংয়ে আমাদের ভালো করতে হবে। এমনকি আমাকেও। আমরা নিয়মিত ৩০ রানে তিন উইকেট হারাতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা ছিল স্পিন। অন্য দলও এখানে আসলে বিষয়টি বুঝতে পারবে। স্পিন নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল। নেটে আমাদের অনেক স্পিন সেশন ছিল। আমরা আমাদের শতভাগ দিতে পারিনি। টেস্ট ক্রিকেট মোটেও সহজ না। আপনি ফিল্ডিংকে দুষতে পারেন না। সামনে আমাদের ভালো করতে হবে।’
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন