ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচে টি উইকেট এর মধ্যে ৩৬ টি উইকেট নিয়েছে স্পিন বোলাররা। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তরুণ নাঈম হাসান এর স্পেন ভেলকিতে পরাজিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার ঢাকা টেস্টে ও দেখা যেতে পারে চার স্পিনারকে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
গতকাল সাংবাদিকদের বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়টা সত্যিই দারুণ ছিল। ক্রিকেটারদের মতোই তাদের জন্য আমার অনেক সমীহ আছে। তারা পরের টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া থাকবে। আমাদের এজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি চাই ২-০ তে জিততে।’
চট্টগ্রামের স্পিন বান্ধব পিচ নিয়ে সমালোচনা অর্থহীন মনে করেন রোডস। তার বিশ্বাস, এমন উইকেট দেখে সফরকারীরা অবাক হয়নি। কারণ গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের জন্য অ্যান্টিগায় সবুজ ও বাউন্সি উইকেট তৈরি করে রেখেছিল ক্যারিবিয়ানরা।
উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে তাই স্পিনারদের দাপট দেখা বিস্ময়কর কিছু নয়। বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অ্যান্টিগা টেস্টে ৩০ উইকেটের মধ্যে ২৪টি পান পেস বোলাররা। আর এবার ৪০ উইকেটের ৩৪টি নিলেন স্পিনাররা।
পিচের এমন আচরণ খেলার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে মনে করেন রোডস, ‘আমি মনে করি টার্নিং উইকেটের প্রত্যাশা নিয়েই আপনি উপমহাদেশে আসবেন, তাই এটা বিস্ময়কর কিছু নয়। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ হচ্ছে টার্নিং উইকেটে। এটা কেবল ভিন্ন ধরনের উইকেট।
মনে করে দেখুন অ্যান্টিগা টেস্টের কথা, সেখানে একেবারে ভিন্ন কন্ডিশনে আমরা খেলেছিলাম- সবুজ ও বাউন্সি। সুইং করা ডিউক বল আমাদের অনেক সমস্যায় ফেলেছিল। আমি মনে করি এটাই খেলার আসল সৌন্দর্য।’
কন্ডিশন উপযুক্ত থাকলে শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া ঢাকা টেস্টেও চার স্পিনারকে নিয়ে খেলার পক্ষে রোডস। কারণ চার স্পিনার একে অপরের পরিপূরক। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় বেশির ভাগ সময় একটি টেস্ট খেলা হয় দুই স্পিনার, তিন পেসার ও একজন অলরাউন্ডারকে নিয়ে।
যখন কোনও স্পিনারকে ছাড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজ চার পেসার নিয়ে খেলত, সেটা ছিল তাদের কৌশল। যদি আমরা মনে করি চার স্পিনারই ঠিক আছে, এটাই আমাদের কৌশল তাহলে সেটাই আমাদের অনুসরণ করা উচিত।’
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন