১১০, ১২৩, ৪৩, ১৪৪, ১৪৯, ১৬৮ ও ১৪৩। কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত ইনিংস নয়। এটা টেস্টে সর্বশেষ সাত ইনিংসে বাংলাদেশের দলীয় রান।
টানা সাত ইনিংসে দুইশর মুখ না দেখা বাংলাদেশ দল অষ্টমবারেও ভাঙতে পারেনি ব্যর্থতার বৃত্ত। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে মাত্র ১৬৯ রানে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৩২১ রান। নির্দিষ্ট করে বললে, শেষ দুই দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৯৫ রান, হাতে ছিল ১০টি উইকেট। কঠিন তবে একেবারে অসম্ভব নয়। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এই কঠিন কাজটাও সম্ভব করা যেত।
কিন্তু এই দায়িত্বটুকু নিতে দেখা গেল না বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানকে। আর তাতে মাত্র সাড়ে তিন দিনে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টটি ১৫১ রানে জিতে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচের ময়নাতদন্ত বাদ দিয়ে খালি চোখে তাকালেও হারের কারণ খুঁজে পেতে বেগ পাওয়ার কথা নয়। হতশ্রী ব্যাটিংটা আরও একবার লজ্জায় ডুবিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজেও মানছেন ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা। কোনো অজুহাত না দিলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কথা।
বোলার কিংবা ব্যাটসম্যান কারো বিরুদ্ধেই কোনো অভিযোগ নেই মাহমুদউল্লাহর। যত ক্ষোভ ব্যাটসম্যানদের ওপর, ‘আমি শুধু ব্যাটিংটা নিয়ে বলতে পারি। আপনি উইকেটের দোষ দিতে পারবেন না। বোলারদের বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ করতে পারবেন না।
কারণ তারা ধারাবাহিকভাবেই পারফর্ম করেছে। তাইজুলের কথা বলি, সে অনেক ভালো বল করেছে। মিরাজ ও রাহি ভালো বল করেছে। আল্টিমেটলি এটা আমাদের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব আমরা কেমন রান করেছি। ব্যাটসম্যানরা যদি ভালো রান না দিতে পারে, তাহলে কোনো লাভ নেই।’
সাদা পোশাকে ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণটা দ্রুত খুঁজে বের করার প্রয়োজন অনুভর করছেন মাহমুদউল্লাহ। তার ভাষ্য, ‘ইস্যুগুলো একসাথে কথা বলে আমাদের ফাইন্ড আউট করতেই হবে, বের করতে হবে কী উপায় আছে!
কারণ এভাবে ব্যাটিং ব্যর্থতার দায়ভার আমরাও নিতে চাই না। আমাদের সবার ইন্ডিভিজুয়াল ইমেজ আছে। একই সাথে বাংলাদেশ দলের ব্যাপার। আমরা বাংলাদেশ দলের জন্য খেলছি, অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু ফেরত দিতে হবে।’
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন