রবিবার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হওয়া বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের প্লেয়ার ড্রাফটে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন আশরাফুল। কিন্তু বিপিএল খেলার জন্য তাকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দিকে।
শেষ পর্যন্ত সর্বকনিষ্ঠ এই টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানকে দলে ভিড়িয়েছে সিদ্ধান্ত বদলে বিপিএলে ফেরা চিটাগং ভাইকিংস।তাতে অবশ্য সোনায় সোহাগা হয়েছে। আশরাফুল নিজেও চাচ্ছিলেন চিটাগংয়ের জার্সিতে বিপিএল খেলতে। বিপিএলে দল পাওয়ার পর প্রিয়.কমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের একসময়ের ‘পোস্টার বয়’।
প্লেয়ার ড্রাফটের আগে অবশ্য সিলেট সিক্সার্সের সঙ্গে কথা হচ্ছিল আশরাফুলের। তবে তারকাসমৃদ্ধ কোনো দলেও খেলতে চাননি সদ্য নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা আশরাফুল। তার ভাষ্য, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি চিটাগং ভাইকিংসে সুযোগের আশা করছিলাম। আর উনারাই আমাকে সিলেক্ট করছে। সিলেটের সাথে কথা হচ্ছিল।
ওদের ম্যানেজার আমাকে ছোটবেলা থেকেই চেনে। ওভাবেই তার সাথে কথা হইছিল। যদি সুযোগ হয়, তাহলে উনারা আমাকে ডাকবে বলেছিল। তার আগেই যদি অন্য কেউ ডাকে, তাহলে তো হয়েই গেল।’
চিটাগংয়ের জার্সি গায়ে খেলতে চাওয়ার কারণ জানিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘চিটাগং প্রথম আসর থেকে অনেক শক্তিশালী দল গড়ছিল; তামিম ইকবাল যখন ছিল। তামিম চলে যাওয়ার পরে ওরা আসলে মিডিয়াম একটা দল গড়ে। আর এই মুহূর্তে আমি যেটা মনে করি, আমার যত বেশি সুযোগ হবে খেলার।’
‘সেখানে আমার খেলার বেশি সুযোগ থাকবে। যেহেতু আমি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, যদি সুযোগ পাই, তাহলে আমি পারফর্ম করার সুযোগটা পাব। এ জন্যই আমার টার্গেট ছিল চিটাগং ভাইকিংস।’
তিন আসর পর বিপিএলে খেলার অপেক্ষায় থাকা আশরাফুলের মূল লক্ষ্য আবারও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এ জন্য যে পারফর্ম করতে, সেটাও তার অজানা নয়। পারফর্ম করার জন্য বিপিএলকে ভালো প্লাটফর্ম মনে করছেন ডানহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন