সময়টা ২০০৫ সাল। তৎকালীন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলটের জায়গায় উইকেটকিপার হিসেবে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ক্রিকেটের জন্মভূমি ইংল্যান্ডের লর্ডসে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে অান্তজাতীক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের।
তবে শুরুতে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি মুশফিকুর রহিম। সেই কারণে প্রায় দেড় বছর পর জিম্বাবুয়ে এর বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের। ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রথমে শুধু উইকেট কিপিং করলেও আস্তে আস্তে নিজেকে পরিণত করেছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে।
বর্তমান সময়ে তাকে বলা হয় বাংলাদেশের রান মেশিন। বাংলাদেশের এই রান মেশিন এখন দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের সামনে। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল এবং অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন তামিম ইকবাল। ৩৫৭ ইনিংসে তামিম এখন পর্যন্ত ১১৮৮৪ রান সংগ্রহ করেছেন। ২০ টি সেঞ্চুরি এবং ৭৩ টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তামিম ইকবালের।এছাড়াও বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার এর গণ্ডি পেরিয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
৩৫০ ইনিংসে সাকিব আল হাসান করেছেন ১০৫৪২ রান। ১২ টি সেঞ্চুরি ৬৯ টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। তাছাড়া বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার রানের সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ মিলে আর মাত্র ৪০ রান করতে পারলেই বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন মুশফিকুর রহিম।
শুধু তাই নয় বাংলাদেশের প্রথম উইকেট কিপার হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন মুশফিকুর রহিম। ৩৬০ ইনিংসে মুশফিকুর রহিম করেছেন ৯৯৬০ রান। যার মধ্যে ১১ টি সেঞ্চুরি এবং ৫৩ টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন