ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে বোলাররা বেশ দাপট দেখাচ্ছেন। প্রথম দিন ফতুল্লাতেও ছিল একই চিত্র। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে সাদমান ও আশরাফুলের দারুণ ব্যাটিংয়ে সব ওলট পালট।
ঢাকা বিভাগের করা ২০৬ রান ছাপিয়ে ঢাকা মেট্রো মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন শেষে তুলে ছিল ৪ উইকেটে ৩১২ রান। লিড ছিল ১০৬ রানের সাদমান ছিল অপরাজিত ১৮৬ রানে। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিল মেহরাব জুনিয়র। ৩৭ রান এসেছে ছিল তার ব্যাট থেকে।
২৬ রানে দিন শুরু করা ঢাকা মেট্রো স্কোরবোর্ডে ২৮ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট। পেসার সালাউদ্দিন শাকিলের বলে সৈকত আলী (২৩) আউট হওয়ার পর শাহাদাত ফেরান শামসুর রহমান (১) ও মার্শাল আইয়ুবকে (৪)।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ঢাকা মেট্রো। চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও সাদমান। দুজন ১৩৭ রান যোগ করেন। তাদের ব্যাটিংয়ে লিডের খুব কাছাকাছি চলে যায় ঢাকা মেট্রো।সাদমান হাফ সেঞ্চুরি তুলে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। আর আশরাফুলের টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে।
শুভাগত হোমের বলে মাহবুবুল আলম অনিকের হাতে ক্যাচ দেন বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। ১৩৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেন আশরাফুল। সঙ্গী হারালেও পথ ভুলেননি সাদমান। প্রথম রাউন্ডের পর দ্বিতীয় রাউন্ডেও তুলে নেন সেঞ্চুরি। ২০১ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর ২২ গজে দ্যুতি ছড়িয়ে যান বাঁহাতি ওপেনার।
তাকে সঙ্গ দেন মেহরাব জুনিয়র। দুজনের ১২৩ রানের জুটিতে দ্বিতীয় দিনে শক্ত অবস্থানে ছিল ঢাকা মেট্রো। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে ছিলেন সাদমান।
৩য় দিনের শুরুতে আর কেউই বেশী সময় টিকে থাকতে পারে নি এই ২২ গজে। সাদমান ১৮৯ ও মেহরাব ৪১ রান করে আউট হয়। এরপর আর কেউই বেশী সময় ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি। আশরাফুলে স্কোরই ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। ঢাকা মেট্রো ৩৮৭ রানে অলাউট হয়ে যায়।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন