এশিয়া কাপের আগে এবং এশিয়া কাপ চলা কালীন সময়েও বেশ সামালোচিত ক্রিকেটার ছিলেন লিটন দাস ও মিথুন। এরা দুজনেই পর্যাপ্ত পরিমান সুযোগ পেয়েও নামের সাথে সুবিচার কারতে পারছিল না।
এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ছিল ১৬ রানের। আর প্রতিটি ম্যাচেই ওপেনার হিসেবেই নেমেছিলেন লিটন দাস। তার সাথে প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে ছিলেন তামিম ইকবাল।
কিন্তু ইনজুড়ির কারনে তামিম ছিটকে পড়ায় পরের তিন ম্যাচে তার সাথে ওপেনিং করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পর পঞ্চম ম্যাচে অর্থাৎ সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ন শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার সাথে ওপেনিং করেছে সৌম্য সরকার।
এই পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই ব্যর্থ ছিলেন লিটন দাস। শুধু মাত্র সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৪১ রান।কিন্তু সেই লিটনই ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১২১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তার ব্যাটিং দেখে সাবেক অনেক ক্রিকেটারই প্রশংসা করেছিল।
এমনকি লিটনের ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয়নি সে চাপে আছে বা শট বাছাই করতেও তার কোন দ্বিধা দেখা যায়নি। আর এই থেকে লিটনের মাঝে একজন বড় ব্যাটসম্যান হওয়ার সকল গুনই দেখা যায়।
এদিকে আরেক তারকা মিথুন। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কেউ দাড়াতেই পারছিল না তখন এই মিথুন মুশফিকের সাথে দাড়িয়ে তাকে সঙ্গ দেন। অর্ধশতক তুলে নেন মিথুন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের গুরুত্বপুর্ন ম্যাচে আরও একবার ক্রিজে দাড়িয়ে থেকে ৬০ রান করে মুশফিককে সঙ্গ দেয়ার সাথে সাথে নিজের যোগ্যতার প্রমান দেন।
ভারতের পেসার জসপ্রিত বোমরাহ যখন প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামে, তখন তার বোলিং লাইন লেন্থ কোনটাই ঠিক ছিল না। সেই বোমরাহ এখন ভারতের সেরা পেসার। ডেথ ওভারে কোন সন্দেহ ছাড়াই তার উপর ভরসা করতে পারে অধিনায়ক।
তাহলে আমাদের এই লিটন ও মিথুনের মত প্রতিভা কেন চুপসে যাবে? কেনই বা আমরা তাদের মধ্য থেকে সেরা ক্রিকেটার বেড় করতে পারবনা? বিসিবির উচিত এই ক্রিকেটারদের যথাযথ পরিচর্যা করে দেশের ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের উন্নতি করা।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন