বেনিফিট অব ডাউট’ সবসময়ই যায় ব্যাটসম্যানের পক্ষে। সম্ভবত এদিন তা ভুলে গিয়েছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার। লিটন দাসের স্টাম্পিং বেশ লম্বা সময় দেখে সিদ্ধান্ত দিলেন বোলারের পক্ষে। কুলদিপ যাদবের বলে এগিয়ে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন।
মিস করলে বল ধরে স্টাম্প ভাঙেন ধোনি। ততক্ষণে উইকেটে পা ঢুকিয়ে ফেলেন লিটন। খুব কাছাকাছি থাকায় সিদ্ধান্ত যাওয়ার কথা ব্যাটসম্যানের পক্ষে। কিন্তু দিলেন বোলারের পক্ষে। ফলে লিটনের সংগ্রাম শেষ হয় ১২১ রানে।
এর আগেও এরকম সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষেই গিয়েছে সব সময়। আইসিসির রুলসে পরিষ্কার লিখা আছে যদি ৫০-৫০ ও হয় তাহলেও সিদ্ধান্ত ব্যাটসম্যানের পক্ষে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই সেটা হয় ভিন্ন। আর প্রতিপক্ষ ভারত থাকলে তো কথাই নেই।এবারে দেখা যাক আইসিসি ল-৩৯ কি বলে-
As per Law-39 of Laws of Cricket, if a batsman is stumped during his shot and the batsman is found Out of his ground. The batsman will be considered as OUT.
In above picture the last tip point of batsman’s shoe is at the edge of crease line (nothing is behind the line towards wicket keeper), the soft decision will be OUT.
The condition of OUT of his Ground referred as neither any body part of Batsman nor his bat are touching the ground behind the popping crease line.
এদিকে আজ খেলা শুরুর কিছু সময় আগেও ২ জন আম্পায়ারের নাম ঘোষণা করা হলেও ঘোষণা করা হয়েছিল না মাঠের ২য় আম্পায়ারের নাম। দুবাইয়ের এই ফাইনালের আগে বাতাস গরম করে তুলেছে একটা প্রশ্ন। প্রশ্নটা আসলে তুলে দিয়েছে একটা রহস্য জনক ঘটনা। ক্রিকেট বলতেই মাঠের আম্পায়ার থাকেন দুজন।
কিন্তু দুবাইয়ের ফাইনালের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে একজন মাঠের আম্পায়ারের নাম। তিনি মারিয়াস ইরাসমাস। ৫৪ বছর বয়সী এই দক্ষিণ আফ্রিকানের সঙ্গে অন্য আম্পায়ার থাকবেন কে, সেটা খেলার শুরুর কিছু সময় আগেও জানানো হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এখনো অন্য আম্পায়ারের নাম ঘোষণা করা হয়নি?
কেন এই রহস্য? এর পেছনে কারণটাই বা কী? প্রশ্নটা হয়তো উঠত না, যদি অন্যান্য ম্যাচ অফিসিয়ালদের নাম ঘোষণা করা না হতো। ফাইনালের আর সব ম্যাচ অফিসিয়ালদের নামই ঘোষণা করা হয়েছে। তৃতীয় তথা টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার রড টাকের। ম্যাচ রেফারির গুরু দায়িত্ব পালনের ভার দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ারই সাবেক কিংবদন্তি ডেভিড বুনের কাঁধে।
বাকি শুধু একজন মাঠের আম্পায়ারের নাম ঘোষণা। তবে কি ফাইনাল পরিচালনার জন্য ইরাসমাসের মতো যোগ্য কোনো আম্পায়ার খুঁজে পাচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ? নাকি এর পেছনে কাজ করছে অন্য কোনো রহস্য? অন্য সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে এই প্রশ্নটা কতটা ঝড় তুলেছে কে জানে! তবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ব্যাপারটা রহস্যময় মনে হওয়ারই কথা।
আম্পায়াররা বরাবরই বাংলাদেশের বিপক্ষে বিতর্কিত সব সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। আর সেই ম্যাচটা যদি হয় মহাপ্রতাপশালী ভারতের বিপক্ষে, আম্পায়াররা যেন বাংলাদেশকে হারানোর পণ করেই মাঠে নামেন। একটু ঘুরিয়ে এভাবেও বলা যায়, ‘প্রভু’ ভারতকে খুশি করতে আইসিসিই যেন আম্পায়ারদের কানে মন্ত্র পরিয়ে দেয়, যেভাবেই হোক ভারতকে জেতাতে হবে!
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন