তামিম ইকবালের সঙ্গে আগে নিয়মিতই ওপেন করতে দেখা যেত ২০০৮ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া ইমরুল কায়েসকে। কিন্তু বর্তমান দলে তিনি দারুণভাবে উপেক্ষিত। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজের পর থেকে ওয়ানডে সেট আপ থেকে ছিটকে পড়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ইমরুলের শেষ কয়েক বছরের ক্যারিয়ার বিশ্লেষণে আসা যাক। ২০১৪ সালে একটানা অফফর্মে থেকেও ২০১৫ সালে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করার সুযোগ হয়েছিলো ৩১ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ওপেনারের।যদিও সবক’টি ম্যাচ খেলেননি; সফলও হননি তত। দলে অনিয়মিত থাকলেও ইমরুলের খেলা শেষ ১২টি ওয়ানডে ম্যাচ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, অন্যদের থেকে অনেকটাই ভালো খেলেছেন ইমরুল।
তার সর্বশেষে ১২ ইনিংসে রান যথাক্রমে ৭৬, ৭৩, ৩৭, ১১২, ১১, ৪৬, ১৬, ৫৯, ৪৪, ১৯, ৬, ৩১, ৬৮ এবং ১। ১২টি ইনিংসে সেঞ্চুরি একটি, হাফ সেঞ্চুরি চারটি এবং ৩৫ থেকে ৪৯ রানের মধ্যে ইনিংস আছে তিনটি।ইমরুলের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট যেখানে ৭০ এর নিচে, সেখানে গত দুই বছরে খেলা ১২ ওয়ানডেতে তার স্ট্রাইক ছিল প্রায় ৮০’র কাছাকাছি। আর এই কয়েক বছরে ইমরুলের জায়গায় বেশ কয়েকজন ওপেনার আসলেও থিতু হতে পারেননি কেউই।
তাদের রেকর্ডও খুব যে চোখ কপালে তোলার মত, সেটাও না। অথচ ইমরুল থাকার পরও তামিমের সঙ্গী হিসেবে কাউকেই পাচ্ছে না বাংলাদেশ। গত বিশ্বকাপের পরে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছেন সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়রা।
অথচ ইমরুলকেই দিত হচ্ছে চূড়ান্ত মাশুল! এমনকি আগামী বিশ্বকাপে কায়েস দলের পরিকল্পনায় কতোটা আছেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। কেননা এই এশিয়া কাপেও দলে উপেক্ষিত ইমরুল।এমনকি বিজয়-সৌম্যও সুযোগ পাননি। দলে তামিমের পাশে তিনজন ওপেনার- মোহাম্মদ মিথুন, লিটন দাস এবং নাজমুল হাসান শান্ত। আর অভিজ্ঞতা, ফরম্যাট এবং বর্তমান ফর্মে একাদশে ঠাই পেতে পারেন লিটন।
আবার খেলতে পারেন মিথুন অথবা শান্ত। দারুন ফর্মে থাকা মিথুন সুযোগ না পেলেও ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করা নাজমুল হোসেন শান্তকেও বাজিয়ে দেখতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।
অর্থাৎ পরবর্তী অধ্যায়ের নিয়মিত ওপেনার হওয়ার ভাল সুযোগ থাকছে শান্তের সামনে।
কিন্তু এসবের ভিড়ে ইমরুল কায়েসের নামটা যেন হারিয়েই গেল! এশিয়ার সবচেয়ে বড় আসরে ডাক পাবেন না ইমরুল, এমনটাও বোঝা গিয়েছিল আগে থেকেই। তাহলে কি মনের অজান্তেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছেন ইমরুল?
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন