বর্তমান সময়ে বিশ্বসেরা দুই কিংবদন্তি ফুটবলার মেসি ও নেইমার গোল করলেই এ বার থেকে হাসি ফুটবে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখে! অভিনব এই পরিকল্পনা একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সংস্থার।
রাশিয়া বিশ্বকাপ শুধু নয়, ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দুই তারকা যত গোল করবেন, তার প্রতিটির জন্য ১০ হাজার স্কুল পড়ুয়ার মধ্যাহ্নভোজের খাদ্যের পিছনে যাবতীয় খরচ জোগানো হবে! অবশ্য গোটা ভাবনাটাই রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’র অঙ্গ। এমন অভিনব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের তারকা।
মেসি বলেছেন, এমন মহান উদ্যোগে সামিল হতে পেরে গর্ব বোধ করছি। ভাবতেই পারছি না, আমাদের এক-একটা গোলের এত শক্তি। এখন থেকে গোলের জন্য প্রাণপাত করব ওদের কথা ভেবেও। আশা করি, অনেক অনেক শিশুর মুখে হাসিও ফোটাতে পারব।
নেইমার বলেছেন, আমরা চাই শিশুদের খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে। চেষ্টা করব সব রকম ভাবে এই পরিকল্পনা সফল করতে। তাই আমি আর মেসি একসঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছি।
ক্ষুধার্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি দুই তারকাই এই মুহূর্ত ব্যস্ত বিশ্বকাপ জয়ে স্বপ্ন পূরণ করতে। মেসি না নেইমার— রাশিয়ায় কার হাতে উঠবে বিশ্বকাপ ট্রফি তা অবশ্য সময়ই বলবে। তবে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনা তাঁর উত্তরসূরিকে চাপমুক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কয়েক দিন আগেও তিনি বিশ্বকাপে মেসিদের নিয়ে খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না। কিন্তু মারাদোনা মানেই তো চমক।
মেসির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, আমি মেসিকে একটাই পরামর্শ দেব। নিজের খেলাটা উপভোগ করো। ওর উচিত বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কে কী বলছে, তা নিয়ে মাথা না ঘামানো। মেসির নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই। ওকে শুধু মাঠে নেমে নিজের খেলাটা উপভোগ করতে হবে।
মারাদোনা বলেছেন, সাম্পাওলি কী ভাবে দলটাকে খেলাচ্ছে, আমি জানিই না। শুধু এ বারের দলের অনেককে চিনি। আমি নিশ্চিত, দেশকে কাপ এনে দিতে এই ছেলেরা নিজেদের উজাড় করে দেবে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন