বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ও নিঃসন্দেহে সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এছাড়া বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টুয়েন্টি লিগগুলোতে তিনি রেখে এসেছেন নিজের প্রতিভার ছাপ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে অভিষেকের পর এটি সেখানে তার সপ্তম মৌসুম। যদিও এবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলছেন। মৌসুমের বেশ কয়েকটি ম্যাচ এখনও বাকি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় তার দল মুখোমুখি হচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙালুরুর।
এই ম্যাচেই কি সাকিব পারবেন নিজের সেরা পারফরম্যান্স বা নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে? ২০১১ সালে অভিষেক মৌসুমে বল হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন সাকিব। সেবার এই অল রাউন্ডার সেবার খেলেছিলেন ৭টি ম্যাচ। বাঁহাতি স্পিনে ১৫.৯০ গড়ে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। তবে ব্যাট হাতে খুব বেশি সুযোগ পাননি। মোট ২৯ রান করেছিলেন সেবার। ২০১২ সালে প্রথমবারের মত আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায় কলকাতা। সেবারও বল হাতে উজ্জ্বল সাকিব। ৮ ম্যাচে ১৬.২৫ গড়ে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। এটাই এখন পর্যন্ত তার এক মৌসুমে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড।
ব্যাট হাতে করেছিলেন ৯১ রান। ২০১৪ সাল ছিল কলকাতায় তার সেরা মৌসুম। ১৩ ম্যাচ খেলে পেয়েছিলেন ১১ উইকেট, গড় ৩০.৩৬। ব্যাট হাতে এক হাফসেঞ্চুরি ও ৩২.৪২ গড়ে করেছিলেন ২২৭ রান। প্রথম তিন মৌসুমে সাকিবের ইকোনমি রেট ছিল যথাক্রমে ৬.৮৬, ৬.৫০ ও ৬.৬৮। ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের মৌসুমে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। ২০১৫’তে ৪ ম্যাচ খেলে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। ব্যাট হাতে সেবার ৩৬ রান করেছিলেন এই বাঁহাতি। ২০১৬ তে ১০ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ১১৪ রান।তবে উইকেট পেয়েছিলেন মাত্র ৫টি,।
আর ২০১৭ সালে মাত্র ১টি ম্যাচই খেলা হয়েছিল সাকিবের। চলতি বছর তাকে কলকাতা ছেড়ে দিলে দলে ভেরায় হায়দ্রাবাদ। দলের বোলিং শক্তির অন্যতম সেরা অস্ত্র তিনি। ১২ ম্যাচ খেলে পেয়ে গেছেন ১২ উইকেট। গড় ২৮.৩৩, ইকোনমি ৭.৭২; মাঝের খারাপ সময়ের পর যা সেরা। আর একটিমাত্র উইকেট পেলেই তিনি ছাড়িয়ে যাবেন নিজেকে। তবে ব্যাট হাতে নিজের সেরা থেকে বেশ দূরে আছেন এখনো। ১২ ম্যাচে করেছেন ১৬৬ রান। দলের প্লে-অফ ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে হায়দ্রাবাদের। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছে দলটি।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন